শুক্রবার এই এলাকায় বিদ্রোহীদের পক্ষে বিরল এ অগ্রগতি সম্ভব হয় বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
রুশ বিমান হামলার ছত্রছায়ায় ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছিল সিরীয় সরকারি বাহিনী। ওই সময়ই কানসাবা টাউনটি পুনরুদ্ধার করেছিল তারা।
ওই মাসের শেষের দিকে দুপক্ষের মধ্যে একটি অস্ত্রবিরতির চুক্তি হলে সাময়িকভাবে লড়াই বন্ধ হয়। কিন্তু সম্প্রতি লড়াই ফের শুরু হয়।
কানসাবা পুনর্দখলে ভূমিকা রাখা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আল কায়েদার অনুগত নুসরা ফ্রন্টও রয়েছে। এই টাউনটি এক সময় নুসরা ফ্রন্টের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ছিল।
এই শহরটি থেকে তুর্কি সীমান্তের নিকটবর্তী জাবাল আকরাদ পর্বতমালার অধিকাংশ এলাকার ওপর নজর রাখা যায় বলে জানিয়েছে অবজারভেটরি।
ব্রিটিশভিত্তিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীটি আরো জানিয়েছে, গত সপ্তাহের প্রথমদিকে শুরু হওয়া বিস্তৃত এক অভিযানের অংশ হিসেবে শহরটি বিদ্রোহীদের দখলে আসে।
ইন্টারনেটে দেওয়া এক বিবৃতিতে নুসরা ফ্রন্ট জানিয়েছে, কট্টরপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট, যাদের মধ্যে তারাও আছে, কানসাবা ও অন্যা্ন্য বেশ কয়েকটি গ্রাম দখল করেছে। এ সময় সরকারি বাহিনীর বেশ কিছু ট্যাঙ্ক ও কামান তাদের হস্তগত হয় বলে জানিয়েছে উগ্রপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে গত সেপ্টেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষ হয়ে রাশিয়া যুক্ত হওয়ার পর থেকে লাতাকিয়ায় বিদ্রোহীরা প্রথমবারের মতো বিরল একটি সাফল্য পেল। লাতাকিয়ার প্রতিবেশী প্রদেশে ইদলিবে নুসরা ফ্রন্টের শক্ত অবস্থান রয়েছে।