ভারতের উত্তরাখন্ডে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯

ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্ততপক্ষে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2016, 07:01 AM
Updated : 2 July 2016, 07:01 AM

এ ঘটনায় আরো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। 

পিথোরাগড় জেলায় শুক্রবার গভীর রাতে প্রবল বৃষ্টিতে ভূমিধস শুরু হলে ছয়টি বাড়ি চাপা পড়ে। এতে তিন শিশুসহ ১১ জন প্রাণ হারান। জেলার দিদিহাট এলাকার এ ঘটনায় আরো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

শনিবার ভোরে চামোলি জেলায় সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার পানির তোড়ে চারজন ভেসে যান। হরিদ্বারে গঙ্গা নদীর পানি বিপদসীমার দুই মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

দুর্যোগ কবলিত এলাকায় উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) চারটি দলসহ সেনাবাহিনী ও ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্ত পুলিশকে ডাকা হয়েছে। 

এনডিআরএফ এর মহাপরিচালক ওপি সিং বলেন, “ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে গেল রাতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। আলোক স্বল্পতা ও অবরুদ্ধ রাস্তার কারণে উদ্ধারকাজে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ছে আমাদের দলগুলো।”

আবহাওয়া বিভাগ রাজ্যের গারোয়াল ও কুমায়ন অঞ্চলের সাতটি জেলায় প্রবল বৃষ্টির কারণে শনিবার রাত থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সতর্কর্তা জারি করেছে। 

ভূমিধসের কারণে সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ সরাতে ও রাস্তা পরিষ্কার করতে উদ্ধারকারী দলগুলো যুদ্ধপরিস্থিতি মোকাবেলার মতো প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। 

দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য নিয়োজিত কয়েকটি দল আলমোরা ও ধরচুলা জেলার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধার অভিযানের সমন্বয়কারী এক জ্যেষ্ঠ আধাসামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা। 

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। মৃত্যুবরণকারীদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। 

মৃতদের জন্য শোক ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

২০১৩ সালে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে উত্তরাখন্ডে পুণ্যার্থী ও পর্যটকসহ প্রায় ছয় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ওই সময় কয়েকশত গ্রাম ও শহর বন্যা ও ভূমিধসে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।