ইইউ প্রশ্নে গণভোট আহ্বান চেক প্রেসিডেন্টের

যুক্তরাজ্যের পর এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মিলোস জিমান।

>>রয়টার্স
Published : 1 July 2016, 12:37 PM
Updated : 1 July 2016, 12:37 PM

ইইউ’র পাশপাশি চেক প্রজাতন্ত্র নেটোর অন্তর্ভূক্ত থাকবে, নাকি থাকবে না সে প্রশ্নেও গণভোটের আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

যদিও তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি চান তার দেশ উভয় জোটের সদস্য থাকুক।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চেক বেতারে এক অনুষ্ঠানে জিম্যান বলেন, “যারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে চায় আমি তাদের সঙ্গে একমত নই।”

“কিন্তু তাদের জন্য একটি গণভোট আয়োজনকরা এবং এর মধ্য দিয়ে তাদের ইচ্ছা প্রকাশের ‍সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি সব কিছু করব। নেটোর সদস্য থাকা না থাকা নিয়েও গণভোট আয়োজনের চেষ্টা করব আমি।”

তবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বলে জিম্যান গণভোটের আহ্বান করতে পারবেন না, এজন্য সাংবিধানিক সংশধনীর প্রয়োজন পড়বে।

কিন্তু জিম্যানের এই আহ্বান দেশটিতে সাড়া ফেলতে পারে। কারণ, চেক প্রজাতন্ত্রের বেশিরভাগ ভোটার ইইউ-র উপর আস্থা রাখতে পারছে না। তার উপর জিম্যানের মত প্রভাবশালী নেতা গণভোট আয়োজনের পক্ষে কথা বলছেন।

২০০৪ সালে চেক প্রজাতন্ত্র ইইউ-তে যোগ দেয়।

এপ্রিলে সিভিভিএম ইন্সটিটিউট পরিচালিত একটি মতামত জরিপে ইইউ সদস্যপদ নিয়ে চেক নাগরিকরা সন্তুষ্টি ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এ বছরের শুরুতে করা অন্য একটি মতামত জরিপের তুলনায় যা ৩২ শতাংশ কম।

প্রতিবেশী স্লোভাকিয়ায়ও একই প্রশ্নে গণভোট আয়োজনের জন্য দেশটির ডানপন্থি পিপুলস পার্টি শুক্রবার একটি পিটিশন উত্থাপনের পরিকল্পনা করেছে।

হাঙ্গেরিতে ইইউ-র সদস্যপদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের কোনও পরিকল্পনা আপাতত নেই। কিন্তু দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টোর অর্বান শরণার্থীদের ইউরোপ প্রবেশ আটকাতে ইউকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরমর্শ দিয়েছেন।

শরণার্থী সঙ্কট নিয়েই যুক্তরাজ্যবাসী ইইউ ত্যাগের পক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে মনে করেন তিনি।

বুধবার অর্বান বলেন, “যদি আলোচনা কিভাবে ইইউ-র সম্পদ ব্যবহার করে তাদের (শরণার্থীদের) আটকানো যায় এবং ওই প্রক্রিয়ার উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়ানোর বিষয়ে হয় তবে হাঙ্গেরি বৃহত্তর ইউরোপকে সমর্থন করবে। কিন্তু যদি আমরা বৃহত্তর ইউরোপকে তাদের এখানে আনতে ব্যবহার করি …. ইউরোপের সম্পদ তাদের মধ্যে ভাগ করি তবে আমরা বৃহত্তর ইউরোপকে সমর্থন করি না বরং অভ্যন্তরীনভাবে এ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে চাই।”

গত বছর থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার যুদ্ধ বিক্ষুব্ধ দেশ এবং এশিয়ার দারিদ্রপীড়িত কয়েকটি দেশের শরণার্থীরা স্রোতের মত ইউরোপে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

শরণার্থীদের এই ঢল সামলাতে ইইউকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ইইউ কোটা পদ্ধতিতে সদস্যভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে শরণার্থীদের বন্টন করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু পূর্ব ইউরোপের সাবেক কমিউনিস্ট দেশগুলো তাদের ভাগের শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।

যেসব রাষ্ট্রপ্রধান শরণার্থীদের গ্রহণ না করার কথা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের জিম্যান তাদের একজন।