বুধবার চালানো এসব হামলায় জঙ্গিদের ব্যবহৃত অন্ততপক্ষে ৪০টি গাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।
মার্কিন কর্মকর্তাদের দেওয়া এই পরিসংখ্যান নিশ্চিত হলে তা হবে জঙ্গিগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে চালানো হামলাগুলোর মধ্যে সবচে প্রাণঘাতী।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা অভিযানের বর্ণনা দিয়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসাবকে প্রাথমিক এবং পরিবর্তনযোগ্য বলে জানিয়েছেন।
ফাল্লুজার দক্ষিণাংশে এই ধারাবাহিক বিমান হামলাগুলো চালানো হয়। সেখানকার বেসামরিক নাগরিকেরা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস সাম্প্রতিক সময়ে ইরাক ও সিরিয়ায় স্বঘোষিত ‘খিলাফত’ রক্ষার ক্ষেত্রে ক্রমশ মার খাচ্ছে।
তবে দখলকৃত ভূমি হারালেও জঙ্গিগোষ্ঠীটির বিদেশের মাটিতে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে সামর্থে্যর ব্যাপারে উদ্বেগ এখনো কাটেনি।
বুধবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলের প্রধান বিমানবন্দরে তিনটি আত্মঘাতী বোমা হামলা ও গুলি চালিয়ে ৪২ জনকে হত্যার ঘটনায় তুর্কি কর্তৃপক্ষ আইএসের দিকেই আঙুল তুলেছে।
সিআইএ’র প্রধান জন ব্রেনান বলেন, “আমি মনে করি, আমাদের জোটের মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ইরাক ও সিরিয়ায় যেখানে আইএসআইএস-এর অধিকাংশ সদস্যরা রয়েছেন সেখানে উল্লেখযোগ্য কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছি।”
আইএস মধ্যপ্রাচ্যে দায়েশ এবং পশ্চিমাদের কাছে আইএসআইএস নামেও পরিচিত।
সাম্প্রতিক সপ্তাগুলোকে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন অভিযান নতুন গতি পেয়েছে। এরই মাঝে ফাল্লুজায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা করেছে ইরাক সরকার।