সেখান থেকে তারা যেন ফাল্লুজায় প্রতিআক্রমণ চালাতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইরাকি বাহিনী। ওই কৃষিক্ষেত্রে আশ্রয় নেওয়া প্রায় দেড়শ আইএস বিদ্রোহীকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছে তারা।
ফাল্লুজায় আইএসকে পরাজিত করার ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর সোমবার ওই কৃষিক্ষেত্রে অভিযান শুরু করেছে ইরাকি বাহিনী।
ইউফ্রেতিস নদীর দক্ষিণ তীরের ওই কৃষিক্ষেত্রটিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী বিমান হামলা ও ইরাকি বাহিনীর কামানের গোলাবর্ষণ করার মধ্য দিয়ে অভিযান শুরু হয় বলে জানিয়েছেন অভিযানে অংশ নেওয়া সেনা কর্মকর্তা কর্নেল আহমেদ আল সাইদি।
আকাশপথে চালানো হামলার ছত্রছায়ায় ইরাকি সেনারা কৃষিক্ষেত্রের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাস্তায় আইএসের পেতে রাখা বোমা এড়াতে স্থল সেনারা খুব সতর্কভাবে লক্ষ্যস্থলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “আটকে পড়া জঙ্গিদের সামনে দুটি পথ খোলা আছে, হয় তারা আত্মসমর্পণ করবে নয়তো মরবে। আমরা তাদের দম নেওয়ার সুযোগ দেব না। সুযোগ পেলেই তারা আমাদের ওপর গাড়িবোমা হামলা করবে।”
তিনি জানান, ওয়্যারলেস যোগাযোগে আড়িপেতে ধারণা পাওয়া গেছে জঙ্গিদের গুলি ফুরিয়ে গেছে। তাই তাদের শিগগিরই ঘিরে ফেলা যাবে বলে মনে করছেন তিনি।
রাজধানী বাগদাদ থেকে মাত্র এক ঘণ্টার গাড়ি দূরত্বে ফাল্লুজার অবস্থান। শহরটি আইএসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু ইরাকি সরকারের ব্যাপক আইএস-বিরোধী অভিযানে এই শক্ত ঘাঁটির পতন হয়েছে। আইএস যোদ্ধারা শহর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী ওই কৃষিক্ষেত্র বা গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
ফাল্লুজা হাতছাড়া হওয়ার পর ইরাকের বড় শহরগুলোর মধ্যে একমাত্র মসুল এখনও আইএসের নিয়ন্ত্রণে আছে। মসুল ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আর আইএসের নিয়ন্ত্রণে থাকা সবচেয়ে বড় শহর।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি চলতি বছরের মধ্যেই মসুল পুনরুদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।