ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্রের বরাতে বিবিসি বলছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে পাঠানো এক বার্তায় এরদোয়ান ভূপাতিত বিমানটির নিহত পাইলটের পরিবারের প্রতি ‘সমবেদনা ও গভীর শোক’ জানিয়েছেন।
গেল নভেম্বরের এই ঘটনায় তুরস্ক ক্ষমা না চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় মস্কো। প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের উপর বাণিজ্যিক ও দেশটিতে প্যাকেজ ট্যুরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাশিয়া।
পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়ার কাছে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এসব নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেশকভ জানান, যা ঘটেছে তার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করে এরদোয়ান সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
পেশকভ বলেন, “বার্তার মূল বক্তব্য হল, রাশিয়া তুরস্কের বন্ধু এবং কৌশলগত অংশীদার, তুর্কি কর্তৃপক্ষ যার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না।”
ক্রেমলিনের এই বিবৃতির বিষয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তুরস্ক কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তুব্য জানা যায়নি।
২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর তুর্কি-সিরিয়া সীমান্তে রাশিয়ার একটি এসইউ-২৪ বোমারু বিমানকে কয়েকটি তুর্কি এফ-১৬ জঙ্গিবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। রুশ বিমানটি সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশের জাবাল তুর্কমেন এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে বোমারু বিমানটির পাইলট নিহত হন।
হেলিকপ্টার যোগে উদ্ধার অভিযানে আসা রুশ বাহিনী তুর্কি সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহীদের গুলির মুখে পড়লে একজন রুশ মেরিন সেনা নিহত হন।
বিধ্বস্ত বোমারু বিমানের নেভিগেটর ক্যাপ্টেন কনস্তান্তিন মুরাখতিন বেঁচে ছিলেন। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী রুশ বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যায়।
তুরস্কের দাবি, সীমান্ত লঙ্ঘণ করার পর ১০ বার সতর্ক করা হলেও রুশ বোমারু বিমানটি সতর্কতার তোয়াক্কা করেনি।
অপরদিকে রাশিয়া বলেছে, বোমারু বিমানটি সিরীয় সীমান্তের ভিতরেই অভিযানে অংশ নিচ্ছিল এবং গুলি করার আগে কোনো সতর্কতা জানানো হয়নি।
এ ঘটনাকে পুতিন ‘পেছন থেকে ছুরি মারা’র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।