‘বায়ুদূষণে ২০৪০ নাগাদ অকাল মৃত্যু বাড়বে’

বিশ্বজুড়ে জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহারের কৌশল পরিবর্তন না করলে বায়ু দূষণ জনিত কারণে ২০৪০ সাল নাগাদ অকাল মৃত্যু বাড়তেই থাকবে।

>>রয়টার্স
Published : 27 June 2016, 04:22 PM
Updated : 27 June 2016, 05:27 PM

সোমবার প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) প্রতিবেদনে একথা বলা হয়।

বিশ্বে প্রতিবছর বায়ু দূষণে প্রায় ৬৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। মানব স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলোর তালিকায় এর অবস্থান চতুর্থ।

তালিকায় বায়ু দূষণের উপরে আছে উচ্চ রক্তচাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য জনিত ঝুঁকি এবং ধূমপান।

জ্বালানি ও বায়ু দূষণ নিয়ে আইইএ-র বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানির অনিয়ন্ত্রিত ও অদক্ষ উৎপাদন এবং ব্যবহার বায়ু দূষণের অন্যতম মূল কারণ।

এশিয়া মহাদেশের বাসিন্দাদের বায়ু দূষণের কারণে অকালে প্রাণ হারানোর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। বায়ু দূষণের কারণে প্রাণ হারানোদের ৯০ শতাংশের বেশি হবে এশিয়ার দেশগুলোর নাগরিক।

দূষণ প্রতিরোধে যদি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তবে ঘরের বাইরে বায়ু দূষণ জনিত কারণে অকালে প্রাণহানির সংখ্যা ২০৪০ সাল নাগাদ ৪৫ লাখে উন্নীত হবে, বর্তমানে এই সংখ্যা ৩০ লাখ।

তবে গৃহে বায়ু দূষণ জনিত কারণে অকাল মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫ লাখ থেকে কমে ২৯ লাখে দাঁড়াবে বলে আইইএ-র প্রতিবেদনে বলা হয়।

২০৪০ সাল নাগাদ সারা বিশ্বে বায়ু দূষণ কমে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এজন্য বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করাও শুরু হয়েছে।

তবে এসব উদ্যোগ এবং যেসব উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হলেও বায়ু দূষণ অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলে মনে করছে আইইএ কর্তৃপক্ষ।

শিল্পোন্নত দেশগুলোতে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমণ কমতে শুরু করেছে, চীনে কমতে শুরু হওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। যদি কমার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে তার পরও অবস্থার খুব একটা উন্নতি হবে না বলে আইইএ-র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।কারণ ভারত, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকায় দিন দিন জ্বালানি চাহিদা বাড়ছে।