মাদাগাস্কারে স্টেডিয়ামে গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত ২ 

মাদাগাস্কারের রাজধানী আন্তানানারিভোতে জাতীয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠান চলার সময় গ্রেনেড বিস্ফোরণে অন্ততপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2016, 09:02 AM
Updated : 27 June 2016, 09:02 AM

রোববার রাতে রাজধানীর মহামাসিনা স্টেডিয়ামে সঙ্গীতানুষ্ঠান চলার সময় বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে বলে দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি ও রয়টার্স।

এ ঘটনায় আরো প্রায় ৮০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেনারেল অ্যান্থনি রাকোটোয়ারিসন।

সঙ্গীতানুষ্ঠানের আগে স্টেডিয়ামে একটি সামরিক প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এ বিস্ফোরণকে ‘অগ্রহণযোগ্য সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করে এর জন্য ‘রাজনৈতিক মতপার্থক্যকে’ দায়ী করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হেরি রাজাওনারিমামপিয়ানিনা।

কারা এবং কী কারণে এ গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হয়নি।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে রাজাওনারিমামপিয়ানিনা বলেছেন, “আমাদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গীগত মতপার্থক্য থাকতে পারে, নেতার সঙ্গে বনিবনা না হলে তুমি জনগণকে হত্যা করতে পারো না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কখনোই অরাজকতা সহ্য করবো না। কারণ এটা শুধু অরাজকতা নয়, এটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ।”

কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলার পর ২০১৩ সালে নির্বাচনে রাজাওনারিমামপিয়ানিনা প্রেসিডেন্ট হলে দেশটিতে আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৮ মাস পার না করতেই রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থতার দায়ে দেশটির জাতীয় পরিষদ প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করার পক্ষে ভোট দেয়।

জাতীয় পরিষদের এই উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর রাজাওনারিমামপিয়ানিনার সমর্থক ও বিরোধীরা পরস্পরের সঙ্গে ধারাবাহিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।

তারপর থেকে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হয়ে আছে।

২০১৪ সালে একই স্টেডিয়ামের বাইরে অপর এক গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় এক শিশু নিহত ও অপর বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। ওই হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং কেউ হামলার দায়ও স্বীকার করেনি।