‘সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সিআইয়ের দেওয়া  অস্ত্র কালোবাজারে’

সিরিয়ার বিদ্রোহীদের জন্য জর্ডানে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) ও সৌদি আরবের পাঠানো অস্ত্র কালোবাজারে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 27 June 2016, 07:40 AM
Updated : 27 June 2016, 07:40 AM

জর্ডানি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ওইসব অস্ত্র চুরি করে বিক্রি করে দেন বলে মার্কিন ও জর্ডানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

নিউ ইয়র্ক টাইমস ও আল জাজিরার এক যৌথ তদন্তে জানা গেছে, চুরি যাওয়া এসব অস্ত্রের একটি অংশ ব্যবহার করে নভেম্বরে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে পুলিশের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দুই আমেরিকান ও অপর তিনজনকে গুলি করে মারা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক জার্ডানি কর্মকর্তা গুলি করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দুই নিরাপত্তা ঠিকাদার, দক্ষিণ আফ্রিকান এক প্রশিক্ষক ও দুই জর্ডানি নাগরিককে হত্যা করে। পাল্টা গুলিতে হামলাকারী ওই কর্মকর্তাও নিহত হন।

গেল নভেম্বরে জর্ডানি কর্তৃপক্ষ এ ঘটনা জানিয়েছিল।

আম্মানের শহরতলী এলাকার এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য স্থাপন করা হয়।

এখানে গোলাগুলিতে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো সিরীয় বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্য জর্ডানে পাঠানো হয়েছিল বলে মার্কিন ও জর্ডানি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, চুরি করা অস্ত্রের চালানের কারণে কালো বাজার নতুন অস্ত্রে সয়লাব হয়ে যায়। পরে মার্কিন ও সৌদি সরকারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অস্ত্র চুরি বন্ধ হয়।

অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনায় যে সব জর্ডানি কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন, তারা অস্ত্র বিক্রির অর্থে আইফোন, এসইউভি ও অন্যান্য বিলাসবহুল সামগ্রী ক্রয় করেছেন।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সিআইএ-র কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।