ব্রেক্সিট আটকে দেওয়ার হুমকি স্কটল্যান্ডের

স্কটল্যান্ড পার্লামেন্টের সদস্যরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া অর্থাৎ, ব্রেক্সিট আটকানোর চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেওন।

নিউজ ডেস্ক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2016, 02:37 PM
Updated : 26 June 2016, 02:56 PM

বৃহস্পতিবারের গণভোটে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেয় যুক্তরাজ্যবাসী। ওইদিন ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ৫২ শতাংশ ভোট এবং থেকে যাওয়ার পক্ষে ৪৮ শতাংশ ভোট পড়ে।

যদিও স্কটল্যান্ডে ভোটের চিত্র ছিল একেবারে উল্টো। সেখানে থেকে যাওয়ার পক্ষে ৬২ শতাংশ এবং বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে মাত্র ৩৮ শতাংশ ভোট পড়ে।

রোববার বিবিসি’র এক অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়  স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) প্রধান স্টার্জেওনকে ভোটের পর স্কটিশ পার্লামেন্টের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল।

জবাবে স্টার্জেওন বলেন, তিনি অবশ্যই স্কটিশ এমপি’দের এ বিষয়ে সম্মতি না দেওয়ার কথা বলবেন।

“স্কটিশ পার্লামেন্ট স্কটল্যান্ডের জন্য কোনটি ঠিক হবে তার ভিত্তিতে বিষয়টি বিবেচনা করলে আমরা বলতে পারি, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে যাবে এমন কিছুতে আমরা ভোট দিতে পারি না। অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।”

স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে ১২৯টি আসনের মধ্যে ৬৩টি এসএনপি-র দখলে।

যুক্তরাজ্যের ব্যবস্থায় স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দান আয়ার‌ল্যান্ডকে কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ওই ক্ষমতা অনুযায়ী, লন্ডন পার্লামেন্টে কোনও বিল অনুমোদনের পর তা কার্যকর করতে হলে বিলটিতে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দান আয়ারল্যান্ডের পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন।

তবে ব্রেক্সিট আটকাতে স্কটল্যান্ডের সক্ষমতা নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ আছে। তাদের একজন কনজারভেটিভ এমপি ডেভিড মুনডেল, যিনি একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, “পছন্দ না হলেও বৃহস্পতিবারের ফলের প্রতি আমাদের সম্মান দেখাতে হবে। পুরো যুক্তরাজ্য জুড়ে ভোট হয়েছে এবং যুক্তরাজ্যবাসীরাই এ ভোট দিয়েছে।”

স্কটল্যান্ড ব্রেক্সিট আটকাতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মুনডেল বলেন, “স্কটিশ পার্লামেন্ট ব্রেক্সিট আটকানোর অবস্থায় রয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে আমার তা মনে হয় না। যদিও এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থাগুলো কি তা আমি দেখিনি।”

বিবিসি’কে এ সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে ওই দিন সকালে স্টার্জেওন বলেছিলেন, তিনি ও তার সহকর্মীরা আগামী সপ্তাহে ইইউ’তে স্কটল্যান্ড থেকে যাওয়ায় বিষয়ে ব্রাসেলসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

যুক্তরাজ্য থেকে স্কটল্যান্ডের স্বাধীন হওয়া প্রশ্নে দ্বিতীয়বারের মত গণভোট আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বলেও শনিবার জানিয়েছিলেন স্টার্জেওন।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।