বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার যুক্তরাজ্যের গণভোটের ফল প্রকাশের পর স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেন বলেছেন, স্কটল্যান্ডের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে যেতে হওয়ার বিষয়টি ‘গণতান্ত্রিকভাবে অগ্রহণযোগ্য’।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়া- না ছাড়া নিয়ে বৃহস্পতিবারের গণভোটে ব্রিটিশ ইউনিয়নের সদস্য স্কটল্যান্ডের ৬২ শতাংশ নাগরিকই ইইউতে থাকার পক্ষে রায় দেন। তবে পুরো যুক্তরাজ্যের ভোটে ইইউ ছাড়ার পক্ষে রায় (৫২ শতাংশ ভোট) এসেছে।
এ প্রেক্ষাপটে স্কটিশ সরকার এখন স্বাধীনতার প্রশ্নে আরেকটি গণভোট আয়োজনের জন্য আইন প্রণয়নের কাজ শুরু করবে বলে স্টার্জেন জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতার প্রশ্নে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে স্কটল্যান্ডে গণভোট হয়। বিচ্ছিন্নতার বদলে যুক্তরাজ্যের সঙ্গেই থেকে যাওয়ার রায় আসে সে সময়।
মে মাসে অনুষ্ঠিত স্কটল্যান্ডের নির্বাচনে স্টুর্জেনের স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (এসএনপি) ইশতেহারে বলা হয়, ২০১৪ সালে গণভোটের সময়কার অবস্থার পরিবর্তন হলে যেমন স্কটল্যান্ডকে যদি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে হয়, তাহলে স্বাধীনতার প্রশ্নে স্কটিশ পার্লামেন্টের আবার গণভোট আয়োজনের অধিকার থাকা উচিত।
এডিনবরায় এক সংবাদ সম্মেলনে স্টার্জেন বলেন, এখন দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে তোলার সময় হয়েছে।