বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক গণভোটে ইউরোপের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট ইইউ’র সঙ্গে ৪১ বছরের বন্ধন ছেঁড়ার পক্ষে রায় এসেছে।
শুক্রবার গণভোটের ফল প্রকাশের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
গণভোটের ফল প্রকাশের দিনই স্কটল্যান্ডের টার্নবেরিতে নিজের মালিকানার গল্ফ রিসোর্ট পুনরায় চালু করার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে যান নিউ ইয়র্কের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ট্রাম্প। মেয়ে ইভাঙ্কা ও ছেলে এরিকও তার সঙ্গে যান। ট্রাম্পের মা স্কটল্যান্ডের অধিবাসী।
টার্নবেরিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “তারা (যুক্তরাজ্য) পুনরায় তাদের দেশের হাল ধরেছে। দেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছে। এটি খুবই চমৎকার ব্যাপার।”
“সারা বিশ্বজুড়েই লোকজন ক্ষুব্ধ। তারা সীমান্ত (নিয়ন্ত্রণ) ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ। তারা সীমান্ত পেরিয়ে আসা এবং তাদের দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়া লোকজনদের ওপর ক্ষুব্ধ। তারা কে তাও কেউ জানে না।”
বরাবরই যুক্তরাজ্যের ইইউ ত্যাগের পক্ষে মত দিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। কয়েক সপ্তাহ আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক হলে ইইউ ত্যাগের পক্ষে ভোট দিতেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এমনটি হতে চলেছে তা আমি আগেই বলেছিলাম এবং আমার মনে হয় এটি একটি দারুণ ব্যাপার। যুক্তরাজ্যে বিভক্তির অবসান হবে।”
ব্রিটিশ ভোটারদের রায়কে স্বাগত জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, তার নিজের নির্বাচনী প্রচারের সঙ্গে এ রায়ের একটি মিল দেখতে পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের ভোটাররা ইইউ থেকে তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে এবং নিজেদের রাজনীতি, সীমান্ত এবং অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
আগামী ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে আমেরিকানরাও আবার নিজেদের ‘স্বাধীনতা ঘোষণা’ এবং বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালীদের এখনকার বিধিবিধান প্রত্যাখ্যান করে ‘সত্যিকারের পরিবর্তন’ নিয়ে আসার সুযোগ পাবে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
“যে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা জনগণের সরকার পাবে, যে সরকার হবে তাদেরই জন্য এবং তাদের দ্বারাই পরিচালিত।”
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ব্রিটিশদের ইইউ ত্যাগ না করার পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।