অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ: ডেমক্রেট আইন প্রণেতাদের অবস্থান ধর্মঘট

সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনার পর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ণের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ডেমক্রেট সদস্যরা অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন।

>>রয়টার্স
Published : 23 June 2016, 09:28 AM
Updated : 23 June 2016, 09:28 AM

পরিষদের মেঝেতে বসে পড়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের দাবিতে শ্লোগান শুরু করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ডেমক্রেট প্রতিনিধি।

১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা তাদের এই অবস্থান ধর্মঘট সত্বেও তাদের দাবি মেনে নিতে অস্বীকার করে পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানরা, এতে বুধবার নিম্নকক্ষে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

ডেমক্রেটদের এই ধর্মঘটের সম্প্রচার বন্ধ করতে ও পরিষদে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে রিপাবলিকান নেতৃবৃন্দ হাউসের টেলিভিশন ক্যামেরা ও মাইক্রোফোনগুলো বন্ধ করে ধর্মঘটীদের উপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেন।

কিন্তু রিপাবলিকান নেতৃবৃন্দ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটিতে রাজি না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ডেমক্রেট প্রতিনিধিরা। ডেমক্রেটদের এ পদক্ষেপকে প্রচারণা চমকের চেষ্টা বর্ণনা করে এর নিন্দা করেছেন রিপাবলিকানরা।

গেল সপ্তায় ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডোর এক সমকামী নৈশক্লাবে ওমর মতিন নামে আফগান বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া এক নাগরিকের নির্বিচার গুলিবর্ষণে ৪৯ জন নিহত হন। পরে পুলিশের গুলিতে মতিনও নিহত হন। 

প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান দলীয় স্পিকার পল রায়ান ডেমক্রেটদের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের এই আইন পরিষদে ব্যাপক হই চই শুরু হলেও রায়ান বন্দুক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কহীন অন্যান্য প্রস্তাবগুলোর উপর ভোটাভুটির জন্য চাপ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেন।

কয়েকজন রিপাবলিকান প্রতিনিধি পরিষদের মেঝের দিকে তেড়ে গিয়ে ডেমক্রেটদের উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে চিৎকার করে উঠেন। এতে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির পরিস্থিতি ‍সৃষ্টি হয়।

এ সময় কয়েকজন প্রতিনিধি দুপক্ষের উত্তেজনা প্রশমণের চেষ্টা করেন।

এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমক্রেটিক প্রতিনিধি ব্রাড শেরম্যান বলেন, “প্রতিনিধি পরিষদের জন্য এটি কোনো মহান মুহূর্ত নয়। শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে কারণ আমাদের একজন স্পিকার আছেন, যিনি আমাদের ভোট দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছেন না।”

রায়ান শিষ্টতা বজায় রাখার ডাক দিলেও ডেমক্রেটদের ‘নো বিল, নো ব্রেক!’ শ্লোগানের নিচে তার আওয়াজ চাপা পড়ে যায়।