ফাল্লুজায় ‘মানবিক বিপর্যয়’ নেমে আসছে

ফাল্লুজাতে ইরাকি সেনাবাহিনীর চূড়ান্ত অভিযানের কড়া জবাব দিচ্ছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। উভয় পক্ষের লড়াইয়ে সেখানকার অধিবাসীরা আটকা পড়ে ‘মানবিক বিপর্যয়’ ঘনিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছেন এক ত্রাণ কর্মকর্তা।

>>রয়টার্স
Published : 31 May 2016, 12:34 PM
Updated : 31 May 2016, 12:34 PM

নরওয়েজিয়ান রিফ্যুজি কাউন্সিলের মহাসচিব জেন জিল্যান্ড বলেন, “ফাল্লুজায় মানবজাতির জন্য ভয়ঙ্কর এক বিপর্যয় থাবা বিস্তার করছে। সেখানকার বেসামরিক নাগরিকরা দুই পক্ষের বন্দুক যুদ্ধের মধ্যে পড়ে গেছে এবং তাদের বের হওয়ার নিরাপদ কোনো পথ নেই।”

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,“গত নয় দিনে মাত্র একটি পরিবার শহরটি থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে আমরা শুনেছি।”

এতে তিনি আরও বলেন, “খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই বিবাদমান পক্ষগুলোকে এখনই বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে। না হলে আরো অনেক প্রাণ যাবে।”

ফাল্লুজা পুনরুদ্ধারে ইরাক সরকার সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরুর এক সপ্তাহ পর শহরটি পুনর্দখলে সোমবার চূড়ান্ত আক্রমণ শুরু করে ইরাকি বাহিনী।

এদিন ইরাকের ‘এলিট  র‌্যাপিড রেসপন্স টিম’ আল-শুহাদা জেলার ৫০০ মিটার দূরে থাকতে অভিযান বন্ধ করে দেয় এবং রাতভর তারা আর অভিযান চালায়নি বলে রয়টার্সকে জানান একজন সেনা কমান্ডার ও একজন পুলিশ।

সোমবারের যুদ্ধে অন্তত ৩২ জন বেসামরিক মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছেন ফাল্লুজার প্রধান হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা।

অন্য একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, এদিন অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ জন জঙ্গি।

ছয় মাসের বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছে ফাল্লুজা। বিদেশি ত্রাণ সংস্থাগুলোও সেখানে যেতে পারছে না। তবে ফাল্লুজা থেকে বের হয়ে কেউ শরণার্থী শিবিরে পৌঁছাতে সক্ষম হলে তাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হত।

ত্রাণ সংস্থাগুলোর আশঙ্কা শহরটিতে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ আটকা পড়ে আছে। তাদের জন্য সেখানে খুবই কম পানীয় জল, খাবার ও ওষুধ রয়েছে।

মসুলের পর ফাল্লুজা ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর যেটা এখনও আইএস- এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।