বিবিসি বলছে, এতে জ্বালানি স্বল্পতায় ভুগতে থাকা পরিবহনখাত আরো বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলন্দ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রস্তাবিত সংস্কার পরিকল্পনা থেকে সরে আসবেন না। এই পরিকল্পনায় শ্রমিক নিয়োগ ও ছাঁটাই সহজ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ফ্রান্সে ইউরো ২০১৬ ফুটবলের চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এর আগে শ্রমিক অসন্তোষে দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে।
সোমবার ফ্রান্সের আটটি তেল শোধনাগারের মধ্যে ছয়টির কার্যক্রম শ্রমিক ইউনিয়নের সিদ্ধান্তের কারণে হয় বন্ধ ছিল অথবা উৎপাদন ন্যূনতম পর্যায়ে ছিল।
উত্তরাঞ্চলীয় ল্য হাভেয়ার তেল শোধনাগারের শ্রমিকরা তাদের চলমান অবরোধ বুধবার পর্যন্ত ধরে রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এই শোধনাগার থেকে প্যারিসের দুটি প্রধান বিমানবন্দরে জ্বালানি সরবরাহ করা হয়।
এর মধ্যে প্যারিস মেট্রোর কর্মীরা বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। এছাড়া বেতন নিয়ে ক্ষুব্ধ এয়ার ফ্রান্সের পাইলটরাও ধর্মঘটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
এতে চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভ্যালাস তার কানাডা সফর বাতিল করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যা মার্ক আরাউলত জানিয়েছেন, তিনি চান ফ্রান্স ব্যবসার জন্য উন্মুক্তই থাকুক।
গেল সপ্তাহে শ্রমিক সমাবেশগুলোতে প্রতিবাদকারী শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা দেশের পর্যটন শিল্পকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছে প্যারিস পর্যটন বোর্ড।
এক বিবৃতিতে বোর্ড বলেছে, “প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে গেরিলা-ধরনে মারামারি সারা বিশ্বে প্রচারিত হয়েছে, এতে ভয়ের অনুভূতি ফিরে এসে ভুলবোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে।”
বিবৃতিতে গেল নভেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় প্যারিসে ১৩০ জন নিহত হওয়ার পর সৃষ্ট নিরাপত্তা শঙ্কার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
তবে নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে এসব বিঘ্ন সত্বেও ফ্রান্সের ৪৬ শতাংশ মানুষ শ্রমিক আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন বলে রোববার প্রকাশিত এক সংবাদপত্রের জরিপের ফলাফলে প্রকাশ পেয়েছে।