সাদিক খানের প্রশংসায় ক্যামেরন

লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে একজন ‘গর্বিত মুসলিম’ ও ‘গর্বিত ব্রিটিশ’ বলে প্রশংসা করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2016, 03:32 PM
Updated : 30 May 2016, 03:32 PM

চরমপন্থিদের সঙ্গে সাদিক খানের সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ তুলে ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টির তীব্র প্রচার-প্রচারণা শুরুর মাত্র কয়েক সপ্তাহের মাথায় তার এ প্রশংসা করলেন খোদ  প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও জানান, তার সঙ্গে একযোগে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে প্রচারাভিযানে যোগ দিচ্ছেন সাদিক খান।

ক্যামেরন বলেন, “আমি এখানে এরকম গুরুত্বপূর্ণ, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে লন্ডনের মেয়রের-(যিনি লেবার পার্টির সদস্য)--সঙ্গে এক মঞ্চ ভাগ করে নিতে পেরে গর্বিত।”

“এমন একজন যিনি একজন গর্বিত মুসলিম, একজন গর্বিত ব্রিটিশ এবং লন্ডনের একজন গর্বিত বাসিন্দা। তিনিই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নগরের মেয়র হতে পারেন। এটি আমাদের দেশ সম্পর্কে সবাইকে একটি বার্তা দেয়।”

সোমবার বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যামেরন ও সাদিক একসঙ্গে ‘অ্যা ব্রিটিশ স্ট্রংগার ইন ইউরোপ ব্যাটেল বাস’ এর উদ্বোধন করেন।

যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে ২৩ জুনে দেশটিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

ক্যামেরন ইইউ-তে যুক্তরাজ্যের থেকে যাওয়ার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। একমাসেরও কম সময় আগে লন্ডনের মেয়র নির্বচনের সময় পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খানের কড়া সমালোচনা করেছিলেন তিনি।

এত অল্প সময়ের মধ্যে ক্যামেরনের মুখে সেই সাদিক খানেরই প্রশংসাবাণী শুনার পর ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে প্রচারাভিযান শিবির বলছে, এ ঘটনাই প্রমাণ করেছে যে ক্যামেরনকে বিশ্বাস করা যায় না।

লন্ডনের মেয়র নির্বাচন চলাকালে ক্যামেরন ‘বিচার ক্ষমতা দুর্বল’ বলে সাদিকের সমালোচনা করেছিলেন। সাদিক খানকে ঘিরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ক্যামেরন ও লেবার নেতা জেরেমি করবিনের উত্তপ্ত বিতর্কও হয়েছিল।

এরপরও সাউথ-ওয়েস্ট লন্ডনে ক্যামেরনের সঙ্গে  ইইউ’য়ে থাকা না থাকা নিয়ে প্রচারণায় নামার কারণ ব্যাখ্যায় মেয়র সাদিক বলেন, “এমন অনেক কিছুই আছে যেখানে প্রধানমন্ত্রী এবং আমি একমত হতে পারব না। তবে যেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল, যখন বিষয়টায় লন্ডনবাসীদের ভাল-মন্দ জড়িত তখন মেয়র এবং সরকার একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি।”

তবে ক্যামেরনের সঙ্গে সাদিক খান যোগ দিলেও লেবার নেতা জেরেমি করবিন ক্যামেরনের সঙ্গে প্রচারণায় নামতে রাজি হননি।

যুক্তরাজ্য ইইউ-র সদস্য হওয়ার কারণে লন্ডনের ‘পাঁচ লাখের বেশি বাসিন্দার’ কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে বলে দাবি করেছেন সাদিক খান।

তিনি বলেন, “ইইউ’তে থেকে যাওয়ার পক্ষে ভোট পড়ার অর্থ কর্মসংস্থান এবং আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ।”