লিবিয়া উপকূলে নৌডুবিতে ‘৭০০ শরণার্থী নিহত’

লিবিয়া উপকূলে গত কয়েকদিনে  একের পর এক শরণার্থী বোঝাই নৌকা ডুবে অন্তত ৭শ’ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2016, 12:56 PM
Updated : 29 May 2016, 12:56 PM

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিনদিনে ইতালির দক্ষিণে লিবিয়া উপকূলে তিনটি নৌকা ডুবে যায়। শরণার্থীরা এসব নৌকায় করে ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল।

বসন্তে অনুকূল আবহাওয়ায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার শরণার্থী সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছে।

শরণার্থী বিষয়ে তুরস্কের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চুক্তির পর তুরস্ক থেকে গ্রিস হয়ে  মানুষজনের ইউরোপে প্রবেশের হার অনেকটা কমে গেছে।

ফলে শরণার্থীরা এখন আফ্রিকা হয়ে ইতালি উপকূল দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছে।

ইউএনএইচসিআর এর পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বুধবার মানবপাচারকারীদের একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর প্রায় একশ’ শরণার্থী নিখোঁজ রয়েছে।

এছাড়া, লিবিয়ার সাবরাথা বন্দর থেকে ছেড়ে আসা একটি নৌযান বৃহস্পতিবার সকালে উল্টে গেলে প্রায় সাড়ে পাঁচশ শরণার্থী নিখোঁজ হয়ে যায়।

বেঁচে যাওয়া শরণার্থীরা জানায়, তাদের নৌকায় কোনও ইঞ্জিন ছিল না। শরণার্থী বোঝাই অন্য একটি নৌযানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাদের নৌকাটি উল্টে যায়।

শুক্রবার ডুবে যাওয়া তৃতীয় জাহাজটির ১৩৫ জন যাত্রীকে ‍উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, ৪৫টি মৃতদেহ পানি থেকে তোলা হয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা অজ্ঞাত।

 ওদিকে, এমএসএফ সি গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত তিনদিনে জাহাজডুবিতে নিহতের সংখ্যা নয় শতাধিক হবে।

 বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বেঁচে যাওয়া শরণার্থীদের ইতালির টারান্টো ও পজ্জাল্লো বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ইতালি কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার লিবিয়া উপকূল থেকে ছয় শতাধিক শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে উদ্ধার করা শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার।