“ওকিনাওয়ার লোকজনের শোক পালনের সময় এখানে কোনো আনন্দোৎসব নয়,” ঘোষণায় বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত সান্ধ্য আইন কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
নিখোঁজ এক নারীর মৃতদেহ গুম করার অভিযোগে মার্কিন মেরিন সেনা ১৯ বছর বয়সী কেনেথ শিনজাতোকে ১৯ মে গ্রেপ্তার করা হয়। এপ্রিল থেকে ওই জাপানি নারী নিখোঁজ ছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর শিনজাতোর দেখিয়ে দেওয়া জায়গা থেকে ২০ বছর বয়সী ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, লাশটি ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন শিনজাতো। ওই নারীকে শিনজাতোই হত্যা করেছেন বলে পুলিশ ধারণা করলেও তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত খুনের অভিযোগ আনা হয়নি।
যে কোনো সন্দেহভাজনকে ২১ দিন পর্যন্ত বিনা অভিযোগে আটক রাখতে পারবে পুলিশ, তবে এরপর আটক রাখতে অবশ্যই অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটির উপস্থিতি নিয়ে অনেক ওকিনাওয়াবাসী এমনিতেই ক্ষুব্ধ, এখন এই ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
জি-সেভেন শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে জাপানে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে ওই নারীর মৃত্যুর বিষয়ে অভিযোগ করেছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে।
ওকিনাওয়ার এই ঘাঁটিটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ হাজার সেনা আছে। এদের সবার জন্য ঘাঁটির বাইরে ক্লাবে ও বারে যাওয়া এবং মদ্যপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘাঁটিতে সব ধরনের উৎসব ও কনসার্ট স্থগিত রাখা হয়েছে।
সামরিক পরিবার ও ঘাঁটিতে চাকরি করা বেসামরিক লোকজনও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে।