শরণার্থীদের নৌকা ডুবে বহু মৃত্যুর শঙ্কা    

ভূমধ্যসাগরে লিবীয় উপকূলে শরণার্থীদের বহন করা একটি নৌকা ডুবে ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2016, 04:16 AM
Updated : 27 May 2016, 04:49 AM

বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় সাগর থেকে আরও ৭৭ জনকে উদ্ধার করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নৌ-ইউনিট, খবর বিবিসির।

লুক্সেমবুর্গের একটি বিমান প্রথমে ডুবে যাওয়া নৌকাটিকে চিহ্নিত করে সতর্ক সঙ্কেত জানায়।

এরপর লিবীয় উপকূল থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে ঘটনাস্থলে ইইউ-র টাস্কফোর্সের এবং ইতালীয় কোস্টগার্ডের কয়েকটি জাহাজ উপস্থিত হয়ে উল্টে যাওয়া নৌকাটির খোল ধরে ভেসে থাকা ও সাঁতার কাটতে থাকা জীবিতদের উদ্ধার করে।

ভূমধ্যসাগরে মানব পাচারকারীদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিয়োজিত ইইউ-র ‘ন্যাভফর মেড’ অভিযানের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন আন্তোনেল্লো ডি রেনজিস্ সোনিনো বলেন, “আমাদের হিসাবে ২০ থেকে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।”

তখনও উদ্ধার অভিযান চলছিল। সাগরে ভেসে থাকা লোকজনের উদ্দেশ্যে স্প্যানিশ নৌবাহিনীর জাহাজ রেনিয়া সোফিয়া থেকে জীবন রক্ষাকারীর বয়া ও জ্যাকেট ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছিল।    

এর একদিন আগে বুধবার ইতালীয় নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া অপর একটি নৌকার ৫৬২ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে।

এই নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা একশ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তাৎক্ষণিকভাবে ইতালীয় কোস্টগার্ড পাঁচজনের মৃত্যু নিশ্চিত করলেও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশনের (আইওএম) ধারণা উল্টে যাওয়া নৌকাটির ভিতরে আরো অনেকের লাশ আটকে আছে।

শুধু চলতি সপ্তাহেই সাগর পাড়ি দেওয়ার পক্ষে দুর্বল নৌকায় চড়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টারত প্রায় ছয় হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে ইইউ কর্তৃপক্ষ। 

ত্রাণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে এজিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসে যাওয়া বন্ধ করতে তুরস্কের সঙ্গে ইইউ-র চুক্তি হওয়ার পর থেকে ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার জলপথটি অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রধান রুট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এতে ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপের অভিবাসী সঙ্কটের সমাধান এখনও অনেক দূরের বিষয় হয়ে আছে।