দেশটির কমিউনিস্ট সরকার মঙ্গলবারএ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।
৩২ পাতার ওই নির্দেশিকায় কিউবার অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, “কিউবার ব্যক্তিমালিকানাধীন মাঝারি, ছোট ও ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বৈধ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।”
সরকারের সর্বসাম্প্রতিক এ পদক্ষেপে দেশটিতে প্রাইভেট সেক্টরের প্রসার ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থনৈতিক স্থবিরতা দূর করতে এবং সরকারি কর্মীদের বেতনখাতে ব্যয় কমিয়ে আনতে গত কয়েক বছর ধরে কিউবা সরকার আত্মকর্মসংস্থানের ওপর বিভিন্ন বিধি-নিষেধ অনেকটাই শিথিল করেছে।
যার ফলে ব্যক্তিমালিকানায় অনেকে সেলুন বা রেস্তোরাঁর মত ছোটখাট ব্যবসা শুরু করেছে।
গতমাসে কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ট্রো এ বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘ছোট পারিবারিক ফার্মগুলোর জন্য তৈরি নীতিমালার আওতায় এ ধরনের ব্যবসা প্রয়োজনীয় আইনি স্বীকৃতি ছাড়াই চলছে।”
কিউবার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর রুদ্ধদ্বার সমাবেশ করে। ওই সমাবেশে গত পাঁচ বছরের কার্যক্রমের মূল্যায়ন এবং আগামী পাঁচ বছরের জন্য অর্থনৈতিক রূপরেখা ও রাজনৈতিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়।
তবে নতুন এ নির্দেশিকা এখনই আইনে পরিণত হচ্ছে না। এটি আইনে পরিণত করতে হলে জাতীয় সংসদে পাশ হতে হবে। কিউবায় বছরে মাত্র দুইবার জাতীয় সংসদের অধিবেশন বসে। জুলাইয়ে পরবর্তী অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
ব্যক্তিমালিকানাধীন মাঝারি ও ছোট প্রতিষ্ঠানকে বৈধতা দেওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের আরও কয়েকটি বিষয়ে সুবিধা যেমন, হোলসেলে পণ্যের কাঁচামাল আমদানি বা পণ্য রপ্তানির মত সুবিধা দিতে হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
যদিও নির্দেশিকায় এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি।
দীর্ঘ বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে কিউবা। যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতের উন্নয়নে অনেক আগ্রহী।