টাম্পের সমর্থকরা তাকে ভোট দেবেন প্রেসিডেন্ট পদে হিলারির জয় ঠেকানোর জন্য। রয়টার্স পরিচালিত এক জরিপের ফলে এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে।
জরিপে মার্কিন সমাজে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী দুই প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব এবং নীতিমালা নিয়ে গভীর এক মেরুকরণ দেখা গেছে। আগামী ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে যে ভোটাররা হয় ট্রাম্প নাহয় হিলারিকে ভোট দিতে মনস্থির করেছেন তাদেরকে প্রশ্ন করে এ জরিপ চালানো হয়।
এতে দেখা যায়, ট্রাম্পর ৪৭ শতাংশ সমর্থক বলেছে, তারা কেবল হিলারির জয় ঠেকাতেই ট্রাম্পকে ভোট দেবে।
অন্যদিকে, হিলারির ক্ষেত্রেও বিষয়টা একইরকম। তার ৪৬ শতাংশ সমর্থকই তাকে ভোট দেওয়ার কারণ হিসাবে ট্রাম্পকে ঠেকানোর কথা উল্লেখ করেছে।
রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিশ্বের সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিণত হবে।
ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পলিটিকস এর পরিচালক ল্যারি সাবাটো বলেন, “এ অবস্থাকে নেতিবাচক পক্ষাবলম্বন বলে।”
“আমরা এ প্রভাবকে সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করলে (প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য) ট্রাম্প ও হিলারির চাইতে ভালো প্রার্থী খুঁজে পাব না।”
২৯ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত অনলাইনে এ জরিপ চালায় রয়টার্স। বৃহস্পতিবার জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়।
জরিপে আরও দেখা গেছে, ৪৩ শতাংশ মার্কিনি ট্রাম্পের রাজনৈতিক অবস্থানকে সমর্থন করার কারণে তাকে সমর্থনে করে। আর মাত্র ৬ শতাংশ ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে পছন্দ করে।
হিলারির ক্ষেত্রেও চিত্রটা প্রায় একই রকম।
৪০ শতাংশ ভোটার হিলারির রাজনৈতিক মতাদর্শকে সমর্থন করেন বলে তাকে সমর্থন করেন। হিলারিকে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করে মাত্র ১১ শতাংশ ভোটার।
ডেমোক্র্যাট দল থেকে হিলারি ক্লিন্টন ও রিপাবলিকান দল থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনয়ন দৌড়ে অন্য প্রার্থীদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে আছেন।
জুলাইয়ে দলীয় সমাবেশে ডেমক্র্যাট ও রিপাবলিকান দল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্ত দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে।
তারপর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং ভোটারদের মতামতেও পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যদিও এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলান আব্রামোউইতজ বলেন, “খুব সম্ভবত উভয় প্রার্থী ভবিষ্যতে আরো কঠোরভাবে পরষ্পরের নিন্দা ও সমালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে কারণে নেতিবাচক এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।”
“ খুবই নেতিবাচক পরিস্থিতির অবতারণা হতে যাচ্ছে।” দীর্ঘ মেয়াদে এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলেও ধারণা করছেন তিনি।
২০১৪ সালে পিউ রিসার্চ সেন্টার পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত কয়েক দশক ধরে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে পরষ্পরের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
ওই গবেষণায় দেখা যায়, এক-চতুর্থাংশ ডেমোক্র্যাট ও এক-তৃতীয়াংশ রিপাবলিকান বিরোধী পক্ষকে ‘জাতির জন্য হুমকি’ বলে মনে করে।