কানাডায় দাবানল: আকাশপথে সরিয়ে নেওয়া হল ৮ হাজার মানুষ

আগুনের হাত থেকে বাঁচতে ফোর্ট ম্যাকমুরে শহর ছেড়ে যেতে বাধ্য হওয়া বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় ৮ হাজার মানুষকে আকাশপথে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2016, 08:12 AM
Updated : 6 May 2016, 08:12 AM

৮৮ হাজার বাসিন্দা শহর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হওয়ার পর কানাডার আলবার্টা প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

বিবিসি বলছে, শুধুমাত্র দক্ষিণাংশের একটি সড়ক শুক্রবারের মধ্যে বাকি ১৭ হাজার মানুষকে সরিয়ে আনার ক্ষেত্রে নিরাপদ হয়ে উঠবে।

ফোর্ট ম্যাকমুরের উত্তরের দিকে চলে গিয়ে আটকা পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছেন এই বাসিন্দারা।

তিনদিন আগে পুরো শহরটির ৮৮ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা বাড়িঘর ফেলে সরে যেতে বাধ্য হন। অধিকাংশ বাসিন্দা দক্ষিণের দিকে গেলেও কিছু বাসিন্দা উত্তরের দিকে যান।

আলবার্টা প্রদেশের ৩২৮ বর্গমাইলজুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে। শত শত দমকলকর্মী হেলিকপ্টার ও ট্যাঙ্কার বিমানের সাহায্যে দাবানলের বিরুদ্ধে লড়ছেন।

আলবার্টার সর্ববৃহৎ শহর কালগারির আয়তনের সমান বনজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ক্রমে আগুন নিভে আসছে।

ফোর্ট ম্যাকমুরে শহরের বাইরে দাবানলের কারণে সৃষ্ট ভারী ধোঁয়ার মাঝে একটি হেলিকপ্টার। ছবি: রয়টার্স

আগুনের হাত থেকে বাঁচতে ফোর্ট ম্যাকমুরে শহরের ৮৮ হাজার বাসিন্দা শহর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। ছবি: রয়টার্স

রোববার আগুন লাগার পর দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ইতিমধ্যেই ফোর্ট ম্যাকমুরের ১,৬০০ ঘরবাড়ি ভস্মীভূত হয়ে গেছে।

এক সঙ্গে ফোর্ট ম্যাকমুরের সব বাসিন্দার শহর ছাড়ার ঘটনাটি আলবার্টার ইতিহাসে এ ধরনের বৃহত্তম ঘটনা। দাবানলের কারণে শহরের কাছের তেল কোম্পানিগুলো তেল উত্তোলন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।

আলবার্টার অয়েল স্যান্ডস্ এলাকায় তেল উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত কয়েকটি তেল কোম্পানি তাদের বেশ কয়েকটি পাইপলাইন বন্ধ করে দিয়েছে।

তুলনামূলকভাবে কম প্রয়োজনীয় কর্মীদের সরিয়ে নিতেই তেল কোম্পানিগুলো এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

দাবানলে এখনো পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

আলবার্টার কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বের্নি শমিত বুধবার জানিয়েছেন, ধ্বংসাত্মক ওই দাবানলটি এ পর্যন্ত সব ধরনের নির্বাপণ চেষ্টাকে ছাপিয়ে গেছে।

আলবার্টা সরকার দরকার মনে করলে কেন্দ্রীয় সরকার সামরিক উড়োজাহাজ পাঠিয়ে তাদের সাহায্য করতে পারবে বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো।