দাবানলের কারণে আলবার্টায় জরুরি অবস্থা

আগুনের হাত থেকে বাঁচতে ফোর্ট ম্যাকমুরে শহরের ৮৮ হাজার বাসিন্দা শহর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হওয়ার পর কানাডার আলবার্টা প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2016, 05:52 AM
Updated : 5 May 2016, 06:05 AM

দেশটির কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, দাবানল শহরটির অধিকাংশ এলাকা ধ্বংস করে দিতে পারে এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা হতে পারে।

বিবিসি বলছে, রোববার আগুন লাগার পর দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ইতিমধ্যেই ফোর্ট ম্যাকমুরের ১,৬০০ ঘরবাড়ি ভস্মীভূত হয়ে গেছে।

এক সঙ্গে ফোর্ট ম্যাকমুরের সব বাসিন্দার শহর ছাড়ার ঘটনাটি আলবার্টার ইতিহাসে এ ধরনের বৃহত্তম ঘটনা। দাবানলের কারণে শহরের কাছের তেল কোম্পানিগুলো তেল উত্তোলন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।

আলবার্টার অয়েল স্যান্ডস্ এলাকায় তেল উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত কয়েকটি তেল কোম্পানি তাদের বেশ কয়েকটি পাইপলাইন বন্ধ করে দিয়েছে।

তুলনামূলকভাবে কম প্রয়োজনীয় কর্মীদের সরিয়ে নিতেই তেল কোম্পানিগুলো এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

দাবানলে এখনো পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

আলবার্টার কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বের্নি শমিত বুধবার জানিয়েছেন, ধ্বংসাত্মক ওই দাবানলটি এ পর্যন্ত সব ধরনের নির্বাপণ চেষ্টাকে ছাপিয়ে গেছে।

ফোর্ট ম্যাকমুরে শহরের বাইরে দাবানলের কারণে সৃষ্ট ভারী ধোঁয়ার মাঝে একটি হেলিকপ্টার। ছবি: রয়টার্স

আগুনের হাত থেকে বাঁচতে ফোর্ট ম্যাকমুরে শহরের ৮৮ হাজার বাসিন্দা শহর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। ছবি: রয়টার্স

হেলিকপ্টারে চড়ে জলন্ত ফোর্ট ম্যাকমুরে শহরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আলবার্টার সরকার প্রধান (প্রিমিয়ার) রিচেল নোটলি জানিয়েছেন, শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়া দাবানল উত্তর ও পূর্বদিকে এগিয়ে গেছে। 

যেমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তেমন করে বাতাস সেদিকে প্রবাহিত হলে দাবানল থিকউড ও টিম্বারলে এলাকার দিকে এবং বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকার দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আলবার্টার জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক স্কট লং বলেন, “খারাপ খবর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাল হয়ে যায় না। শহরটির বিরাট একটি অংশ হারানোর সম্ভাবনা আছে।”

দমকল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দাবানলটি এখন ৩৯ বর্গমাইলেরও (১০ হাজার হেক্টর) বেশি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে আছে এবং এটি নিয়ন্ত্রণে একশ’ জন দমকল কর্মী কাজ করছেন।

প্রবল বাতাস ও গরম আবহাওয়ার কারণে আগুনটি আরো বড় এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

আলবার্টা সরকার দরকার মনে করলে কেন্দ্রীয় সরকার সামরিক উড়োজাহাজ পাঠিয়ে তাদের সাহায্য করতে পারবে বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো।