বিবিসি বলছে, এলাকাবাসী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও যৌন পুতুলটিকে ভুল করে পরী হিসেবে চিহ্নিত করে এর ছবি শেয়ার করা হয়।
মার্চ মাসের কোনো একদিন পুতুলটিকে সাগরে ভাসতে দেখেন ওই জেলে। বাড়িতে নিয়ে আসার পর তারা ‘পরী’ ভেবে পুতুলটির সেবাযত্ন শুরু করেন। দ্রুতই এই পুতুলের ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে এবং একে ‘পরী’ হিসেবে দাবি করা হয়।
‘পরী’ নিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুজব অস্থিরতা তৈরি করতে পারে আশঙ্কায় ‘পরী’ রহস্য উদ্ধারে তদন্তে নামে পুলিশ। তারা আবিষ্কার করে যাকে পরী ভাবা হচ্ছে তা আসলে বাতাস ভরা একটি যৌন পুতুল।
ইন্দোনেশিয়ার নিউজ পোর্টাল দেতিক জানিয়েছে, শালীন পোশাক এবং মাথায় হিজাব পড়া পুতুলটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
‘পরিত্যক্ত ও কান্নারত’ অবস্থায় এটিকে পাওয়া গেছে গল্প ছড়িয়ে এটি ‘পরী’ বা মালয় ভাষায় ‘বিদাদারি’ বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি দেখে তদন্তে নামে পুলিশ।
ইন্দোনেশিয়ার মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মধ্যেই অতিপ্রাকৃত ‘বিদাদারি’ অস্তিত্বে বিশ্বাস প্রবলভাবে ছড়িয়ে আছে।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান হেরু প্রামুকার্নো জানিয়েছেন, মার্চের সূর্য গ্রহণের পরপরই পুতুলটি পান গ্রামবাসীরা। এই সময়ে পুতুলটি পাওয়ায় এর সঙ্গে অতিপ্রাকৃত কোনো যোগাযোগ আছে এমন বিশ্বাস গ্রামবাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রামুকার্নো বলেন, “তাদের কাছে ইন্টারনেট নেই, যৌন পুতুল কাকে বলে তা তারা জানেন না।”