বুধবার চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিপলস ডেইলি তাদের দাপ্তরিক মাইক্রোব্লগে এ খবর জানিয়েছে।
পরীক্ষামূলক ক্যান্সার চিকিৎসা নিতে এসে হাসপাতালটিতে ওই কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদন্ত শুরু করলে আধা-সামরিক পুলিশের ওই হাসপাতালটি নতুন রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেয়।
ওয়েই জেক্সি নামের ২১ বছর বয়সী ওই ছাত্র গেল মাসে মারা যান। তিনি বিরল এক ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
চীনা ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন বাইদুতে খোঁজ করে ওয়েই জানতে পারেন, বেইজিংয়ের আধা-সামরিক পুলিশের হাসপাতালটিতে ওই রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তখন তিনি সেখানে চিকিৎসা নিতে যান।
বাইদুতে চিকিৎসার জন্য সেরা জায়গা খুঁজছিলেন ওয়েই। সামরিক পুলিশের দ্বিতীয় হাসপাতালের একটি বিভাগ এ বিষয়ে পরীক্ষামূলক চিকিৎসা দেওয়ার কথা জেনেছিলেন তিনি। কিন্তু চিকিৎসা শুরু হলেও তা ব্যর্থ হয়।
মৃত্যুর আগে ওয়েই বাইদুকে মিথ্যা চিকিৎসা তথ্য দেওয়ার জন্য এবং হাসপাতালটিকে এ ধরনের চিকিৎসায় উচ্চ সাফল্যের দাবি করে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভ্রান্ত করার জন্য অভিযুক্ত করেন বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় রেডিও।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে বাইদুর বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করা হয়।
এক বিবৃতিতে ওয়েইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বাইদু তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছে।
অপরদিকে পিপলস ডেইলিতে প্রকাশিত এক নোটিশে হাসপাতালটি বলেছে, “হাসপাতালের যোগ্যতা পরীক্ষা ও শুদ্ধি অভিযান চলায় বাইরের সব কার্যক্রম আমরা আজ থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখবো।”
হাসপাতালটির পরিচালনাকারী চীনের আধা-সামরিক পুলিশ তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছে।
চীনের সামরিক নিউজ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে পিপলস আর্মড পুলিশ বলেছে, ওয়েইর ঘটনায় তারা সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই হাসপাতালটিতে তাদের নিজস্ব তদন্ত দল পাঠিয়েছে।