নতুন মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে চলমান অচলাবস্থায় অসন্তোষের জেরে ইরাকের পার্লামেন্টে শনিবার তাণ্ডব চালায় শিয়া বিক্ষোভকারীরা।
পার্লামেন্টের ক্ষমতাশালী দলগুলো কয়েক সপ্তাহের জন্য মন্ত্রিসভা পরিবর্তনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিতে চাইছে না। ওদিকে, শিয়া বিক্ষোভকারীরা নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদিকে চাপ দিতে চাইছেন।
প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি বলেছেন, যারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি ডেকে এনেছে তাদের সবার বিচার করা হবে।
শনিবার এমপিরা আবারও নতুন মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে ভোট আয়োজনের বিষয়ে একমত হতে ব্যর্থ হলে শিয়া নেতা মোক্তাদা আল-সাদরের কয়েকশ অনুসারী ফটক ভেঙে পার্লামেন্টের সুরক্ষিত গ্রিন জোনে প্রবেশ করে বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভের পর রাজধানী বাগদাদে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
বাগদাদের সবচেয়ে সুরক্ষিত অঞ্চল গ্রিন জোনে দূতাবাস ও সরকারি ভবনগুলো অবস্থিত। বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে সেখানেও তাণ্ডব চালায়। তারা আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং কাগজপত্র তছনছ করে।
ওই সময় এমপি’রা পার্লামেন্ট ভবন ছেড়ে চলে যেতে শুরু করলে বিক্ষোভকারীরা ‘কাপুরুষরা পালিয়ে যাচ্ছে’ বলে শ্লোগান দেয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চেম্বারের ভেতর বিক্ষোভকারীরা আসনগুলো তুলে ধরে ছবির তোলার জন্য পোজ দেয়। পার্লামেন্টে তাণ্ডবের সময় কাছের আরেকটি ভবনে জাতিসংঘ ও দূতাবাসের কর্মীরা আটকা পড়ে যায়।
বিক্ষোভকারীদের অনেকে পার্লামন্টের বাইরে অবস্থান নেয় এবং রোববারও সেখানে তাদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
২০০৩ সালে ইরাকের সাবেক শাসক সাদ্দাম হুসাইনের পতনের পর দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে এত খারাপ পরিস্থিতি আর দেখা যায়নি।
আবাদি পার্লামেন্ট ভবন পরিদর্শন করে তাণ্ডবের পেছনে দায়ীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। তবে এখনও তার নির্দেশ পালনের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।