বিবিসি বলছে, আদালতের বিভিন্ন নথিপত্রে তল্লাশি পরোয়ানার বিষয়টি রয়েছে বলে জানা গেছে।
২১ এপ্রিল সকালে মিনেসোটার পেইসলি পার্কে এই শিল্পীর স্টুডিও কমপ্লেক্সের একটি লিফটে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেদিনই তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল।
কিন্তু কর্তৃপক্ষ ওই তল্লাশি পরোয়ানা স্থগিতে বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের দাবি, বিষয়টি প্রকাশ্য হয়ে পড়লে তাদের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কর্মকর্তারা মার্কিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রিন্সের মৃত্যুর পর তার সঙ্গে ব্যথানাশকের প্রেসক্রিপশন পাওয়া গেছে।
তবে যেসব ব্যথানাশক ওষুধ তিনি গ্রহণ করতেন তার মৃত্যুর সঙ্গে সেসবের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।
কার্ভার কাউন্টির ডেপুটি শেরিফ জেসন কামেরুড সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিকে (ডিইএ) ডাকা হয়েছিল বলে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক নয়।
গেল সপ্তায় প্রিন্সের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ঘটনাটি আত্মহত্যা নয় বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে সুরতহালের পুরো প্রতিবেদন পেতে কয়েক সপ্তা সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
২০০৯ সাল থেকে কোমরের ব্যথার কারণে পারকোসেট নামক ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করতেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
প্রিন্সের সাবেক একজন বাদ্যযন্ত্রী শেইলা ই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মঞ্চে উঁচু হিলের জুতা পায়ে স্পিকারের ওপর বছরের পর বছর ধরে লাফানোর ফলে সমস্যায় ভুগছিলেন।
তবে তিনি এও বলেন, উদ্বেগেরে কারণ হতে পারে এমন কোনো ওষুধ ওই সংগীতশিল্পী গ্রহণ করতেন না।
প্রিন্স রজার্স নেলসসের নাম ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে গত শতকের আশির দশকে। তার অ্যালবাম ১৯৯৯, পারপল রেইন, ও দ্য টাইম তাকে এনে দেয় বিশ্বজোড়া খ্যাতি।
১৯৫৮ সালে জন্ম নেওয়া প্রিন্স তার গাওয়া প্রায় সব গান নিজেই লিখেছেন। মঞ্চে তার পরিবেশনা শ্রোতাদের মধ্যে যেন বিদ্যুৎ সঞ্চার করতো।
৩৫ বছরের সংগীতজীবনে রক, ফাংক, জ্যজের জগতে প্রিন্সের উদ্ভাবনী বিচরণ ভক্ত-শ্রোতাদের দিয়েছে ৩৯টি অ্যালবাম। সাতটি গ্র্যামিজয়ী এই শিল্পীর রেকর্ড বিক্রি হয়েছে দশ কোটির বেশি।
১৯৮৪ সালে ‘পার্পল রেইন’ ছবির গানের জন্য অস্কার এবং ২০০৭ সালে ‘হ্যাপি ফিট’ এর ‘সং অব দ্য হার্ট’ গানটির জন্য গোল্ডেন গ্লোব পেয়েছেন প্রিন্স।