ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ) ও গ্লোবাল টাইগার ফোরাম জানিয়েছে, সর্বশেষ বিশ্ব শুমারিতে তিন হাজার ৮৯০টি বাঘের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালে বিশ্বব্যাপী বাঘের সংখ্যা তিন হাজার ২০০টিতে নেমে গিয়েছিল। অথচ গত শতকের গোড়ার দিকেও বিশ্বে এক লাখ বাঘ ছিল বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন খবরে আশাবাদ তৈরি হলেও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, তথ্য সংগ্রহে উন্নতমানের পদ্ধতি ব্যবহারের কারণেও সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটেছে বলে ধারণা তৈরি হতে পারে।
ডব্লিউডব্লিউএফ-এর মহাপরিচালক মার্কো ল্যাম্বার্টিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সংখ্যাটি দেখাচ্ছে সরকার, স্থানীয় সম্প্রদায় ও সংরক্ষণবিদরা একসঙ্গে কাজ করলে আমরা প্রজাতি ও তাদের বাসস্থান রক্ষা করতে পারি।”
বাঘের বসবাস আছে বিশ্বের এমন ১৩টি দেশের বন ও পরিবেশমন্ত্রীরা চলতি সপ্তাহে দিল্লিতে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। ওই বৈঠক সামনে রেখেই সর্বশেষ বাঘসুমারির এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
দিল্লির ওই সম্মেলনে ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য ঘোষণা করা হবে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সর্বশেষ গণনায় দেখা গেছে, বিশ্বে মোট বাঘের অর্ধেকেরও বেশি, দুই হাজার ২২৬টি রয়েছে ভারতে। বন ধ্বংস করায় ইন্দোনেশিয়ায় বাঘের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে।
বাঘের বাসস্থান মানুষের দখলে চলে যাওয়া ছাড়াও চোরা শিকারিরা বাঘের শরীরের বিভিন্ন অংশ উচ্চমূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে বাঘ শিকার করছে। এছাড়া বনের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দারাও নিজেদের নিরাপত্তার জন্য কখনো কখনো বাঘ হত্যা করেন।