শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায় ইইউ-তুরস্ক চুক্তি

তুরস্ককে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহায়তার দেওয়ার বিনিময়ে ইউরোপমুখী অবৈধ শরণার্থীদের ঢল আটকানোর  বিতর্কিত একটি চুক্তিতে উপণীত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2016, 04:45 PM
Updated : 18 March 2016, 05:14 PM

চুক্তির লক্ষ্য শরণার্থীদের জন্য ইউরোপে প্রবেশের মূল পথ বন্ধ করে দেওয়া। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এ চুক্তির বৈধতা ও কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

গত বছর তুরস্ক থেকে ইজিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে লাখ লাখ শরণার্থী গ্রিসে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে ইউরোপের অন্যান্য দেশ বিশেষ করে জার্মানিতে পাড়ি জমায়।

শুক্রবার সকালে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতগলুর সঙ্গে আলোচনার পর ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক কোনোরকম পরিবর্তন ছাড়াই ইইউ ভূক্ত ২৮টি দেশের কাছে প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তি অনুমোদন করার সুপারিশ করেন এবং ব্রাসেলস সম্মেলনে নেতারা এ ব্যাপারে দ্রুতই রাজি হন।

তবে ডোনাল্ড টাস্ক চুক্তিটি সর্বসম্মতভাবে চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার আগেই সম্মেলনের বৈঠক চলার মধ্যে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী বহুস্লাভ সবৎকা টুইটে ঘোষণা দিয়ে জানান, “তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি অনুমোদন পেয়েছে। সমস্ত অবৈধ শরণার্থী যারা তুরস্ক হয়ে গ্রিসে পৌঁছেছে তাদের ২০ মার্চ থেকে ফিরে যাওয়া শুরু করতে হবে।”

ইইউ-র শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, ইইউ নেতারা প্রস্তাবিত চুক্তিতে অনুমোদন দিলে আঙ্কারা তা মেনে নেবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দাভুতগলু। তিনি খুব শিগগিরই ইইউ নেতাদের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক অধিবেশনে যোগ দেবেন।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, আঙ্কারা তুরস্ক হয়ে গ্রিসে প্রবেশ করা সব শরণার্থীকে ( যাদের মধ্যে সিরীয়রাও রয়েছে) ফেরত নেবে। বিনিময়ে ইইউ তুরস্ক থেকে সরাসরি কয়েক হাজার সিরীয় শরণার্থীকে ইউরোপে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে।

সেইসঙ্গে তুরস্ককে আরো অর্থ সহায়তা, দ্রুত ভিসা-ফ্রি ভ্রমণ এলাকায় প্রবশের সুযোগ এবং ইইউ-র সদস্য পদ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা আবারও শুরু হবে।

তুরস্কের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, খুব সম্ভবত ৪ এপ্রিল থেকে শরণার্থীদের ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। একই সঙ্গে তুরস্কে অবস্থিত সিরীয় শরণার্থীদের ইউরোপে পুনর্বাসন কার্যক্রমও শুরু হবে।

২০১৮ সাল নাগাদ শরণার্থীদের জন্য অর্থ সাহায্য দ্বিগুণ করার বিষয়েও একমত হয়েছে উভয় পক্ষ।