সাউথ ক্যারোলাইনায় রিপাবলিকান প্রার্থীদের তুমুল বাকযুদ্ধ

যুক্তরাষ্ট্রে সাউথ ক্যারোলাইনার বিতর্কে বৈদেশিক নীতি ও সুপ্রিম কোর্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তুমুল বাকযুদ্ধ হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2016, 04:19 PM
Updated : 14 Feb 2016, 04:19 PM

আইওয়া ও নিউ হ্যাম্পশায়ারে পর এবার ২০ ফেব্রুয়ারি সাউথ ক্যারোলিনায় প্রাইমারির ভোট অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

সে উপলক্ষ্যে সিবিএস টেলিভিশনের আয়োজনে বিতর্ক অনুষ্ঠানে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকা ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ এবং ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে।

বিবিসি জানায়, অনুষ্ঠানে বার বার একজনের বক্তৃতার সময় অন্যদের চিৎকার করতে বা হস্তক্ষেপ করতে দেখা গেছে। এক পর্যায়ে সিবিএস মডারেটর জন ডিকেরমন তাদের সতর্ক করে বলেন, “আমরা কাদার মধ্যে বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালাচ্ছি।”

ইরাক যুদ্ধ এবং নাইন-ইলেভেন হামলার সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের ভূমিকা নিয়ে বিবাদে জড়ান ট্রাম্প ও জেব বুশ।

ট্রাম্প বলেন, “ইরাকের বিষয়ে আমাদের হস্তক্ষেপ করা একদম উচিত হয়নি। তারা মিথ্যা বলেছে। তারা বলেছে সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর মত অস্ত্র রয়েছে। সেখানে কিছু ছিল না এবং তারা জানত সেখানে কিছু নেই।”

ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান জেব বুশ। নিজের ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে বলেন, “প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যেসব সমস্যায় পড়েছেন সেগুলোর জন্য সবসময় আমার ভাইকে দায়ী করেছেন। ওবামার অভিযোগ শুনতে শুনতে আমি অসুস্থ ও ক্লান্ত বোধ করছি।”

“এখন সত্যি বলতে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমার বিরুদ্ধে যেসব অপমানজনক তথ্য দিয়েছেন সেগুলো আমি একদমই পাত্তা দেই না।”

সুপ্রিম কোর্টের শূন্য হওয়া বিচারকের পদ পূরণ নিয়েও এদিন জমজমাট বিতর্ক হয়েছে।

শনিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অ্যান্টোনিন স্কালিয়া মারা যান। বিচারপতির শূন্য পদে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একজনকে মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সিনেটের রিপাবলিকোনদের তা ঠেকানো উচিত বলে মত দেন ট্রাম্প।

রিপাবলিকান দলের ৬ মনোনয়ন প্রত্যাশীরও বেশিরভাগই চান পরবর্তী প্রেসিডেন্টই নতুন বিচারপতি নিয়োগ দিক।

এ দুটো বিষয় ছাড়াও বিতর্কে অভিবাসন এমনকি গর্ভপাত নীতি নিয়েও তীব্র বিতর্কে একে অপরকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কথা বলেছেন প্রার্থীরা।

বিতর্কের গোড়া একে অপরের বিরুদ্ধে মুখিয়ে থাকা প্রার্থীরা ভদ্রতার সীমারেখাও ছাড়িয়ে গেছেন। ‘দুর্বল ও মিথ্যাবাদী’ বলে জেব বুশকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুশও পাল্টা ট্রাম্পকে আখ্যা দেন ‘দুর্বল ও প্রতারক’ বলে।

অভিবাসন নিয়ে তর্কে মার্কো রুবিও ও টেড ক্রুজ একে অপরকে ‘ডাহা মিথ্যুক’ আখ্যা দেন। ক্রুজকে ‘জেব বুশের চেয়েও বড় মিথ্যাবাদী’ বলে আক্রমণ করেন ট্রাম্প।