শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি ৬৯ কোটি ৯০ লাখ ডলারের এই বিক্রয়চুক্তি সরকার অনুমোদন করেছে বলে জানিয়েছে।
বিষয়টি দেশটির আইনপ্রণেতাদের জানিয়েছে সংস্থাটি এবং আইনপ্রণেতাদের কারো কোনো আপত্তি থাকলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে কংগ্রেসে তা জানাতে হবে। কেউ আপত্তি তুললে বিক্রি স্থগিত হয়ে যাবে। তবে এমনটি ঘটবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এফ-১৬ বিমানগুলো পাওয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানি বিমান বাহিনী যে কোনো ধরনের আবহাওয়া পরিস্থিতিতে এবং রাতে অভিযান চালাতে পারবে। পাশাপাশি এতে ওই বিমান বাহিনীর আত্মরক্ষার সামর্থ্য এবং বিদ্রোহ দমন ও সন্ত্রাস দমনের সামর্থ্য বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে ভারত বলেছে, “এ্ই ধরনের অস্ত্র সরবরাহে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা হবে, তাদের এ ধরনের ব্যাখ্যার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি আমরা।”
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কিত কমিটির চেয়ারম্যান বব ক্রোকার এক নোটিশে ওবামা প্রশাসনকে জানিয়েছেন, ফরেন মিলিটারি ফাইন্যান্সিং (এফএমএফ) কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল ব্যবহার করে পাকিস্তান বিমানগুলোর মূল্য পরিশোধ করতে পারবে না।
এর অর্থ হল এই ক্রয়চুক্তির মূল্য পরিশোধের জন্য পাকিস্তানকেই তহবিলের যোগান দিতে হবে।