রয়টার্স জানিয়েছে, ফার্গুসন কর্তৃপক্ষ এই পুনর্গঠনে বিপুল ব্যয়ের কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে করা একটি চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পর বুধবার এই মামলা হয়।
২০১৪ সালে ফার্গুসনে মাইকেল ব্রাউন নামে নিরস্ত্র এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক শেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর ব্যাপক সহিংতা ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার পর ফার্গুসনের পুলিশি ব্যবস্থার ওপর অনুসন্ধান চালায় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
ফার্গুসন পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিশেষ করে সংখ্যালঘু কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠির ওপর নির্যাতন এবং কয়েকটি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। আর অধিকাংশ ঘটনাতেই শেতাঙ্গ অফিসাররা জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিচার বিভাগের অনুসন্ধানে পুলিশ বিভাগ ও বিচার ব্যবস্থার সমস্যার চিত্র উঠে আসে। ফার্গুসনের পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের প্রমাণ মেলে। এরপরই বাহিনী পুনর্গঠনের কথা বলা হয়।
এরপরও নগর কর্তৃপক্ষ সংস্কারের বিরোধিতা করায় মামলা করা ছাড়া বিকল্প ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল লরেটা লিঞ্চ।
তার অভিযোগ, ফার্গুসনের পুলিশ নিয়মিতইভাবে কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠির বিরুদ্ধে বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত।
ফার্গুসন নগর কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাহিনী ও বিচার বিভাগ পুনর্গঠন চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেয়।
ফার্গুসনের মেয়র জেমস নোলেস জানান, তারা এরই মধ্যে কমিউনিটি পুলিশ ব্যবস্থা চালু এবং পুলিশ কর্মকাণ্ড জরদারির জন্য রিভিউ বোর্ড তৈরিসহ বেশকিছু পুনর্গঠনমূলক কাজ করেছেন।
তবে অধিকারকর্মীরা বলছেন, ফার্গুসন কর্তৃপক্ষকে এখন পুনর্গঠন চুক্তি বাস্তায়নের চেয়ে বেশি খরচ করতে হবে বিচার বিভাগের করা মামলা লড়তে।