আলেপ্পোর সিরীয়দের নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ

সিরিয়ার সরকারি বাহিনী আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো ঘিরে ফেললে সেখানকার হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক চরম খাদ্যাভাবে পড়বে এবং নতুন করে  বিপুল সংখ্যক মানুষ শরণার্থী হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2016, 04:22 PM
Updated : 9 Feb 2016, 04:22 PM

রুশ বিমান বাহিনী ও ইরান ও হিজবুল্লাহ গেরিলাদের সহায়তায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনী আলেপ্পো ঘিরে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করছে।

দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সিরিয়ার সবচেয়ে বড় শহরগুলোর অন্যতম আলেপ্পোর একটি অংশ সরকারের এবং বাকি অংশ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তুরস্কের প্রধান সীমান্ত পারাপার এলাকা দিয়ে আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশগুলোতে খাবার ও অন্যান্য রসদ পাঠানো হত। জাতিসংঘের আশঙ্কা, সরকারি বাহিনীর অভিযানের কারণে শেষ পর্যন্ত ওই রাস্তাটিও বন্ধ হয়ে যাবে।

জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেন, “যদি আলোচনার মাধ্যমে মানবিক ত্রাণ নিয়ে প্রবেশের ব্যবস্থা করা না হয় তবে আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশে এখনও বসবাসরত প্রায় তিন লাখ মানুষ মানবিক সাহায্য পাবে না।”

সরকারি বাহিনী আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশে অভিযান শুরু করার পর থেকেই সেখানকার হাজার হাজার বাসিন্দা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে তুরস্ক সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছে।

স্থানীয় কাউন্সিলররা জানান, সরকারি বাহিনীর অভিযান চলতে থাকলে  সেখানকার এক লাখ থেকে দেড় লাখ মানুষ শরণার্থী হবে।

এরই মধ্যে সিরিয়ার ২৫ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে তুরস্ক। কিন্তু বর্তমানে সীমান্ত বন্ধ করে রাখায় আলেপ্পোর শরণার্থীরা তুরস্কে প্রবেশ করতে পারছে না।

জাতিসংঘ মঙ্গলবার আঙ্কারাকে সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সেইসঙ্গে অন্যান্য দেশকে ত্রাণ পাঠিয়ে তুরস্ককে সাহায্য করার কথাও বলেছে।