উ.কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চায় যুক্তরাষ্ট্র-জাপান

উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চায় জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘেরও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করে দুই দেশ।

এস এম নাদিম মাহমুদ, জাপান থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2016, 01:11 PM
Updated : 9 Feb 2016, 01:11 PM

মঙ্গলবার সকালে এক টেলিফোন আলাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এ ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেন এবং জাতিসংঘকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানান।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবকে উদ্ধৃতি করে বলেছে, দুই নেতাই রোববার উত্তর কোরিয়ার উৎক্ষেপণ করা রকেটটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলে সংশয় প্রকাশ করেছেন।

আবে বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ জাপান, যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের শান্তিরক্ষায় সরাসরি হুমকি স্বরূপ। তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আর এজন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

জাতিসংঘের উচিত দ্রুত উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা।

বারাক ওবামা বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ আর পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো সত্যিই বাড়াবাড়ি। তাদের এ আচরণ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিয়মনীতি লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে।

শিনজো আবে আরও বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে তার সরকার এবং জাপানি নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছে। অন্যদিকে, ওবামা একই ধরনের কথা বলে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ৬ জানুয়ারি উত্তর কোরিয়া কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত জানায়। আর এজন্য তারা জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাছে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যে রকেট উৎক্ষেপণের জন্য অনুরোধও জানিয়েছিল।

কিন্তু জাপান বরাবরই বলে আসছিল, এটি কোন উপগ্রহ নয়, উপগ্রহের মোড়কে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এসএম-৩ ক্ষেপণাস্ত্র। এর প্রেক্ষিতে কয়েকদিন থেকে সরকার দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা বাড়ানোসহ কয়েকটি জায়গায় ভূপাতিত যন্ত্র বসিয়েছিল।

প্রায় চার বছর আগে উত্তর কোরিয়ার ছুড়ে দেওয়া উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ওকিনাওয়ার নিকটবর্তী সাকিশিমা দ্বীপের কাছে ভূপাতিত হয়েছিল।

এর আগে উত্তর কোরিয়া ১৯৯৮, ২০০৬ এবং ২০১২ সালে একই ধরনের রকেট নিক্ষেপ করেছিল।