নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মিডটাউন ম্যানহাটানে নিজের ড্রোন উড়িয়েছিলেন শন রিডল।
এক পর্যায়ে সেটি ১০২ তলা এম্পায়ার স্টেট ভবনের ৪০ তলায় ধাক্কা খায় এবং পরে ৩৬ তলার কার্নিশে পড়ে আটকে যায়।
এরপরও রিডল সটকে পড়তে পারতেন। কিন্তু তা না করে তিনি ভবনে ঢুকে ড্রোনটি উদ্ধারের জন্য এক নিরাপত্তাকর্মীর সহায়তা চাওয়ায় ঘটে বিপত্তি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ওই নিরাপত্তাকর্মী ড্রোনটি উদ্ধারে সহায়তার কথা বলে পুলিশে খবর দেয়। রিডলের বিরুদ্ধে আনা হয় ‘বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড’ এবং ‘অবৈধ বিমানচালনার’ অভিযোগ।
এদিকে রিডলের নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে দাবি করা হয়, ড্রোনটি ওড়ানোর আগে তিনি এক পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞেস করেছিলেন। সেই পুলিশ সদস্য তাকে ‘কোনো সমস্যা নেই’ বলেও জানিয়েছিল।
“আমি স্রেফ পাঁচ সেকেন্ডের একটি ভিডিও করতে চেয়েছিলাম। ড্রোন ওড়ানোর ২০ মিনিট আগে একজন পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞেসও করেছিলাম। সে বলেছিল কোনো সমস্যা নেই।”
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছর আগে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের ‘ভুল তথ্যকেও’ এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে ওই টুইটে।
“পুলিশকে জানানো ছাড়াও আমি ওয়েবসাইটে নিউ ইয়র্কের কোথায় বৈধভাবে ড্রোন ওড়ানো যাবে সে ব্যপারে জেনেছিলাম।”
যুক্তরাষ্ট্রে ড্রোন মালিকদের সব সময়ই ওড়ানোর আগে প্রস্তুতকারকদের সহায়তা নিতে উৎসাহ দেওয়া হয়।
তাছাড়া এম্পায়ার স্টেটসহ ম্যানহাটনের অধিকাংশ ভবনে হেলিপ্যাড থাকায় অনুমতি ছাড়া সেখানে বিমান চালানোও নিষিদ্ধ।