ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের বরাতে মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
সিয়াচেন হিমবাহের প্রায় ছয় হাজার মিটার উচ্চতায় অপর নয় সেনার সঙ্গে আট মিটার তুষারের নিচে চাপা পড়েছিলেন ল্যান্স নায়েক হনুমান থাপা। সঙ্গী সবার মৃত্যু হলেও তিনি বেঁচে ছিলেন।
মঙ্গলবার উদ্ধারের সময় তার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, “এই বিস্ময় অব্যাহত থাকবে বলেই আশা করছি। আমাদের সঙ্গে একই প্রার্থনা করুন।”
গেল বুধবার সিয়াচেন হিমবাহের উত্তর পাশে একটি সামরিক চৌকি তুষারধসের নিচে চাপা পড়ে। ওই ঘটনার এতদিন পরে সেখানে জীবিত কোনো সেনাকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কমই ছিল বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা।
পাঁচ হাজার ৯০০ মিটার (১৯,৩৫০ ফুট) উচ্চতায় হিমবাহটির একটি চৌকিতে ওই সেনারা দায়িত্বপালন করার সময় তুষারধস হয়।
পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের কাছাকাছি নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশের ওই এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী দল।
কিন্তু সেনাদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা এতটাই ক্ষীণ ছিল যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত ট্যুইটারে সহমর্মিতা জানিয়ে শোকবার্তা দেন।
শীতকালে এলাকাটির তাপমাত্রা মাইনাস ৬০ সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। এ সময় এখানে তুষারধস ও ভূমিধসের মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটে।
ভারত-পাকিস্তানের সেনারা সিয়াচেন হিমবাহে টহল দেয়। উভয় দেশই হিমবাহটির উপর নিজেদের সার্বভৌম কর্তৃত্বের দাবিদার।
হিমবাহটি বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। গেল মাসেও একই এলাকায় তুষারধসে চার ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছিল।
১৯৮৪ সালে হিমবাহটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে যুদ্ধের চেয়ে বিরূপ আবহাওয়ার কারণেই বেশিরভাগ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এখানে সমুদ্রসীমা থেকে ২২ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত সেনা মোতায়েন করা আছে।