জিকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ১৮০ কোটি ডলার চাইবেন ওবামা

জিকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে ১৮০ কোটি ডলারের জরুরি তহবিল চাইবে ওবামা প্রশাসন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2016, 04:28 AM
Updated : 9 Feb 2016, 04:28 AM

ভাইরাসটি লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।

বিবিসি বলছে, অন্যান্য উদ্যোগের সঙ্গে মশা নিয়ন্ত্রণ ও টিকা গবেষণা কর্মসূচিতে এই অর্থ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এমন দেশগুলোতে মশা নিয়ন্ত্রণ ও সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়াতে কিছু অর্থ দেওয়া হবে।

প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ২৬টি দেশে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলো (সিডিসি) নিশ্চিত করেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ৫০জন ব্যক্তি জিকার প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন অঞ্চল থেকে ফিরে আসার পর তাদের দেহে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে।

শনিবার কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস জানিয়েছেন, তার দেশে ৩ হাজারেরও বেশি গর্ভবতী নারী মশাবাহিত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

সম্প্রতি ছোটমাথা নিয়ে জন্মগ্রহণকারী ৪,০০০ শিশুর সঙ্গে জিকা ভাইরাসের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কিনা এ বিষয়টি পরীক্ষা করছে ব্রাজিল।

সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। ছবি: রয়টার্স

জার্মানিতে জেনেকাম বায়োটেকনোলজি এজি তে ‘জিকা ভাইরাস’ লেখা টিউব। ছবি: রয়টার্স

মেডিক্যাল পরিভাষায় শিশুদের ছোট মাথা বা ত্রুটিযুক্ত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মানোর সমস্যাটিকে বলা হয় ‘মাইক্রোসেফালি’।

চিকিৎসকেরা এরই মাঝে সদ্যোজাত শিশু কিংবা মায়ের দেহে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে এমন ১৭ ঘটনা শনাক্ত করেছেন।

কিন্তু এরপরও জিকা ভাইরাসের কারণে ‘মাইক্রোসেফালি’ সমস্যা বা ছোট মাথার শিশুর জন্ম হচ্ছে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জিকা সম্পর্কে এখনো সম্পূর্ণরূপে জানা সম্ভব হয়নি। এ রোগের কোনো প্রতিষেধকও নেই। আক্রান্তদের ৮০ ভাগের মধ্যেই কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। আক্রান্ত ব্যক্তি জ্বরসহ সামান্য অসুস্থতা বোধ করেন, শরীরে ফুসকুড়ি ওঠে এবং চোখ লাল হয়ে যায়।

জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ মাসের শুরুতেই বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

জিকার প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন অঞ্চল থেকে আসা ব্যক্তির দেওয়া রক্ত গ্রহণ না করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি

রোগটি এত দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে যে দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকায় চলতি বছর ৪০ লাখের মতো মানুষ ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশংকা করা হচ্ছে।

ব্যবহারের উপযোগী প্রতিষেধক তৈরি করে বাজারে ছাড়তে দশ বছর সময় লেগে যেতে পারে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।

সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়।