রোববারের এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে এক বিজ্ঞানী ও বন বিভাগের এক কর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রায় ১০ ঘন্টা চেষ্টার পর চিতাবাঘটিকে এক পাশে নিয়ে ট্র্যাংকুলাইজার দিয়ে নিস্তেজ করতে সক্ষম হন বন বিভাগের কর্মীরা, পরে সেটিকে একটি জাতীয় উদ্যানে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই দিন সকালে শহরের কুন্দালাহাল্লি এলাকার ভিবগিওর ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে আট বছর বয়সী পুরুষ চিতাবাঘটিকে ঘুরাফিরা করতে দেখা যায়। স্কুলের নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে সুইমিং পুলের কাছে চিতাবাঘটিকে এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করতে দেখা যায়।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা রাভি রালফ জানিয়েছেন, অনতিদূরের এক বন থেকে এসে চিতাবাঘটি সম্ভবত স্কুলে ঢুকে পড়েছিল।
চিতাবাঘটিকে এক পাশে খেদিয়ে নিয়ে ট্র্যাংকুলাইজ করার সময় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিজ্ঞানী সঞ্জয় গুবি ও বন বিভাগের কর্মী বেনি মাউরিয়াস বাঘটির হামলায় আহত হন।
পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এস বোরালিনগৈয়া বলেন, “চিতাবাঘটিকে আটক করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ট্র্যাংকুলাইজার ইঞ্জেকশন দেওয়া হলেও এর প্রভাব পুরোপুরি কাজ শুরু করতে করতে রাত সোয়া ৮টা (স্থানীয় সময়) বেজে যায়।”
আহত ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের এক ক্যামেরাপার্সনও আছেন।
সম্প্রতি এক জরিপে ভারতে ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার চিতাবাঘ রয়েছে বলে হিসাব করা হয়েছে।