নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জরুরি বৈঠকের পর পরিষদ উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায় নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে, খবর বিবিসির।
পিয়ংইয়ং বলেছে, কক্ষপথে একটি স্যাটেলাইট স্থাপনের জন্য তারা রকেট ছুড়েছে। তবে সমালোচকদের ধারণা এর আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তিগত পরীক্ষা।
চতুর্থবারের মত পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর কয়েক সপ্তাহ পর রোববার ওই রকেট উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। এই দুটি পদক্ষেপই দেশটির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন।
রকেট উৎক্ষেপণ নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার সকালে উত্তর কোরিয়ার একটি টহল নৌযান সোচেওং দ্বীপের কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমার ভিতরে ঢুকে পড়ে, কিন্তু দক্ষিণ কোরীয় সেনারা হুঁশিয়ারি জানিয়ে নৌযানটির আশপাশে গুলিবর্ষণ করলে সেটি ফিরে যায়, জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রোববার রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, “উৎক্ষেপণ নিষেধাজ্ঞার গুরুতর লঙ্ঘন।”
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার বলেছেন, “পিয়ংইয়ংয়ের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় নিরাপত্তা পরিষদ যেন কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তা নিশ্চিত করবে ওয়াশিংটন।
“আমরা অত্যন্ত কঠোর কোনো ব্যবস্থা নেব, তা সচরাচরের মতো হবে না।”
পাওয়ারের কথার প্রতিধ্বনি করে জাতিসংঘে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত মোতোহিদে ইয়োশিকাওয়াও আরো শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন।
বর্তমানে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন থেকে বিরত করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকটির আয়োজন করে।
এসব বৈঠকের পরও উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে এক ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের করা একটি প্রশ্নই সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক হয়ে আছে - কোরিয়ার মতো একটি সমস্যাকে কীভাবে সামলানো সম্ভব?
এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দেয়নি।
প্রায় ১০ বছর আগে উত্তর কোরিয়া প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পর নিরাপত্তা পরিষদ এ পর্যন্ত দেশটির উপর চারবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপে দেশটির পরমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর গতি মন্থর হলেও তা কখনও বন্ধ হয়নি।
অপরদিকে নিষেধাজ্ঞাও কখনো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন বা আরোপ করা হয়নি।