‘কলম্বিয়ায় ৩ হাজার গর্ভবতী নারী জিকা আক্রান্ত’

কলম্বিয়ায় ৩ হাজারেরও বেশি গর্ভবতী নারী মশাবাহিত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

>>রয়টার্স
Published : 7 Feb 2016, 06:24 AM
Updated : 7 Feb 2016, 06:28 AM

দেশটির প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস শনিবার এই তথ্য জানিয়েছেন।

সম্প্রতি ছোটমাথা নিয়ে জন্মগ্রহণকারী ৪,০০০ শিশুর সঙ্গে জিকা ভাইরাসের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কিনা এ বিষয়টি পরীক্ষা করছে ব্রাজিল।

মেডিক্যাল পরিভাষায় শিশুদের ছোট মাথা বা ত্রুটিযুক্ত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মানোর সমস্যাটিকে বলা হয় ‘মাইক্রোসেফালি’।

চিকিৎসকেরা এরই মাঝে সদ্যোজাত শিশু কিংবা মায়ের দেহে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে এমন ১৭ ঘটনা শনাক্ত করেছেন।

কিন্তু এরপরও জিকা ভাইরাসের কারণে ‘মাইক্রোসেফালি’ সমস্যা বা ছোট মাথার শিশুর জন্ম হচ্ছে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রেসিডেন্ট সান্তোস বলেন, জিকা ভাইরাসের সঙ্গে ‘মাইক্রোসেফালি’র সম্পর্ক রয়েছে এমন কোনো তথ্য বা ঘটনা আমাদের সংরক্ষণে নেই।

জিকা সম্পর্কে এখনো সম্পূর্ণরূপে জানা সম্ভব হয়নি। এ রোগের কোনো প্রতিষেধকও নেই। আক্রান্তদের ৮০ ভাগের মধ্যেই কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। আক্রান্ত ব্যক্তি জ্বরসহ সামান্য অসুস্থতা বোধ করেন, শরীরে ফুসকুড়ি ওঠে এবং চোখ লাল হয়ে যায়।

সান্তোস জানিয়েছেন. কলম্বিয়ায় বর্তমানে ২৫,৬৪৫ জন ব্যক্তি জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩,১৭৭ জন গর্ভবতী নারী।

ক্যারিবীয় অঞ্চলের কলম্বিয়া পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় দেশ। দেশটির কার্তাগেনা এবং সান্তা মার্তা ভ্রমণপিয়াসীদের মূল আকর্ষণ। ওই দুটি অঞ্চলে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। ছবি: রয়টার্স

জার্মানিতে জেনেকাম বায়োটেকনোলজি এজি তে ‘জিকা ভাইরাস’ লেখা টিউব। ছবি: রয়টার্স

জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ মাসের শুরুতেই বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

জিকার প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন অঞ্চল থেকে আসা ব্যক্তির দেওয়া রক্ত গ্রহণ না করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি

রোগটি এত দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে যে দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকায় চলতি বছর ৪০ লাখের মতো মানুষ ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশংকা করা হচ্ছে।

ব্যবহারের উপযোগী প্রতিষেধক তৈরি করে বাজারে ছাড়তে দশ বছর সময় লেগে যেতে পারে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।

এরআগে যুক্তরাষ্ট্রে ‘যৌন সংসর্গের’ মাধ্যমে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের বিরল একটি ঘটনার খবর পাওয়া যায়।

সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, যৌন সংসর্গের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ানোর ঘটনা বিরল।