ত্রাণকর্মীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শিগগিরই আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা সরকারি বাহিনীর দখলে চলে যাবে।
আলেপ্পোর যে অংশ সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে সেখানে ১০ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে। অন্য দিকে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের বাস।
তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থা এএফএডি রয়টার্সকে জানায়, সীমান্ত অতিক্রমের জন্য সিরিয়ার প্রায় ১৫ হাজার শরণার্থী শনিবার তুরস্কের অনজুপিনার সীমান্তে জড় হয়েছে।
আরও প্রায় ৫০ হাজার শরণার্থী সীমান্ত অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে।
তুরস্কের সীমান্ত শহর কিলিসের গভর্ণরের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার প্রায় ৩৫ হাজার সিরীয় শরণার্থী সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছেছে। শুক্রবার প্রায় ২০ হাজার শরণার্থী সীমান্তে পৌঁছেছিল।
এএফএডি’র এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “শরণার্থীরা যেখানে অপেক্ষা করছে নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে এখনও জরুরি অবস্থা ঘোষণার সময় আসেনি। তাদের জন্য প্রথমেই একটি সুরক্ষিত স্থানের প্রয়োজন ছিল এবং সীমান্তের ওপার (সিরিয়া) তারা এই মুহূর্তে নিরাপদ।”
“শরণার্থীদের মঝে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এখন সেখানে আপাতত তাদের জীবনের কোনো ঝুঁকি নেই।”
নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গত প্রায় এক বছর ধরে অনজুপিনার সীমান্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। শনিবারও সীমান্ত বন্ধ ছিল। তবে মাঝেমধ্যে সীমান্ত খুলে শরণার্থীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ।