অর্থ কেলেঙ্কারির মুখে জাপানি মন্ত্রীর পদত্যাগ

একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ লাখ ইয়েন ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের অর্র্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রী আকিরা আমারি।

এস এম নাদিম মাহমুদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2016, 09:45 AM
Updated : 28 Jan 2016, 07:50 PM

বৃহস্পতিবার রাজধানী টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে হঠাৎই মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগের এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ এই মন্ত্রী।

এর আগে জাপানের একটি সাময়িকীর প্রতিবেদনে আকিরা আমারির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করা হয়। সে অভিযোগ মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করলেও ব্যক্তিগতভাবে এমন ভুল কিছু করার কথা অস্বীকার করেছেন আমারি।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জাপানের গণমাধ্যমগুলোতে চলা সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত এ মন্ত্রী তার পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হলেন।

আকিরা আমারি জাপানের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনার তত্ত্ব ‘আবেনোমিক্স (আবেতত্ত্ব) প্রণেতা। তার নির্দেশনায় জাপান গত বছর এপ্রিল থেকে কর বৃদ্ধি ৫ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশে উন্নীত করেছে।

ওদিকে, আকিরা আমারির স্থানে আসছেন নোবুতেরু ইশিহারা। সাবেক এ্ই পরিবেশ মন্ত্রীকে নতুন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।

আবে বলেন, আমারি ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি মন্ত্রিপরিষদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের অংশীদারও বটে।

গত ২১ জানুয়ারি জাপানের ‘সুকান বুনুসান’ ট্যাবলয়েড-এ আমারির বিরুদ্ধে দেশটির চিবা এলাকার একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গত তিন বছরে ১ কোটি ২০ লাখ জাপানি মুদ্রা (ইয়েন) ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত কয়েকদিন জাপানের গণমাধ্যমগুলোতে সমালোচনা হতে থাকলে সরকারের পক্ষ থেকে করা হয় তদন্ত কমিটি। 

বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে আকিরা আমারিওই নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১০ লাখ ইয়েন নেওয়ার কথা জানান এবং বলেন, এ অর্থ তারা বিনোদোনের জন্য দিয়েছে। তাছাড়া, এ তহবিলের কথা রাজনৈতিক দলকেও জানানো হয়েছে।

এটি কোন ভাবেই অবৈধ অর্থ নয় বলেও দাবি করে আমারি বলেন, আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার জন্য এই প্রতিবেদনটি করা হতে পারে। এরপরও সামগ্রিক বিষয় ও মন্ত্রিপরিষদের সফলতা আনতে আমি আমার পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।

৬৬ বয়সী এই মন্ত্রী আরও বলেন, আমি পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, “আমার কার্যালয়ের দুই সচিব এ অর্থ নিয়েছেন।”

২০১২ সাল থেকে শিনজো আবের মন্ত্রিপরিষদে থাকা আকিরা আমারি অভিযোগ করে বলেন, “আমার ওই সচিবরা নিজেদের বিনোদনের জন্য এ অর্থ গ্রহণ করেছে বলে আমাকে জানিয়েছে। তাই এ দায় আমারও বটে। আর এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমি সরে যাচ্ছি।”