‘উষ্ণতায় অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে ২০১৫’

গেল বছর বিশ্বের গড় তাপমাত্রা উষ্ণতার সব রেকর্ড ভেঙেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সরকারি সংস্থা।

>>রয়টার্স
Published : 21 Jan 2016, 08:35 AM
Updated : 21 Jan 2016, 08:35 AM

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং দেশটির সমুদ্র ও বায়ুমণ্ডল সংক্রান্ত প্রশাসন নিজেদের বার্ষিক প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্তসারে এ কথা জানিয়েছে।

একই দিন যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া দপ্তর এবং পূর্ব অ্যাঞ্জলিয়া আবহাওয়া গবেষণা ইউনিটের প্রকাশিত উপাত্তও যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা দুটোর পাওয়া তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বৈশ্বিক আবহাওয়ার স্বাভাবিক গতি নষ্ট করে দেওয়া উষ্ণতাকে থামাতে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন ব্যাপকভাবে কমানো দরকার, বলছেন বিজ্ঞানীরা।

বুধবার প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তে গ্রিন হাউস গ্যাস হ্রাস করার চাপ আরো বাড়ল। 

যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা দুটির প্রকাশিত তথ্য দেখিয়েছে, ২০১৫ সালে বিশ্বের ভূভাগে ও সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক নয় শূন্য সেলসিয়াস (এক দশমিক ৬২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) । এই মান বিংশ শতকের গড় তাপামাত্রা থেকেও বেশি এবং ২০১৪ সালের রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা দশমিক এক ছয় সেলসিয়াস (দশমিক দুই নয় ফারেনহাইট) থেকেও অনেক বেশি।

এই নিয়ে চলতি শতাব্দিতে চতুর্থবারের মতো বৈশ্বিক তাপমাত্রার রেকর্ড হল বলে জানিয়েছে সংস্থা দুটি।

মহাকাশ গবেষণায় নিয়োজিত নাসার গডার্ড ইনস্টিটিউটের পরিচালক গ্যাভিন স্মিথ বলেন, “বড় এবং লম্বা সময় ধরে উষ্ণায়ন প্রবণতার জন্যও ২০১৫ উল্লেখযোগ্য।”

২০১৫ সালে উষ্ণতার এই হঠাৎ বৃদ্ধির জন্য এল নিনোও আংশিক দায়ী।

এল নিনো প্রশান্ত মহাসগারের আবহাওয়ার একটি স্বাভাবিক চক্র, যা প্রতি দুই থেকে সাত বছরে সমুদ্র পৃষ্ঠকে উষ্ণ করে তোলে।

কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের কার্যকলাপ বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারই বিশ্বের উষ্ণতা দ্রুত বেড়ে যাওয়ার কারণ।