গত বছর অক্টোবরে প্রকাশিত ক্রেডিট সুসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে দরিদ্রতর অর্ধেক জনগোষ্ঠীর সমান সম্পদ ছিল ৩৮৮ জন ধনীর হাতে।
সম্পদের এই ‘অসাম্য ঘোচাতে’ বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে দ্রুত উদ্যেগী হওয়ার আহবান জানিয়েছে অক্সফাম। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে এ সপ্তাহেই শুরু হতে যাওয়া ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সভার আগে সংস্থাটির এ আহবান।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রেডিট সুসির তথ্য অনুযায়ী ১ শতাংশ লোকের হাতে পুঞ্জীভূত হয়েছে বিশ্বের বাকি ৯৯ শতাংশ মানুষের সমান সম্পদ। আর এই পরিস্থিতির জন্য কর নীতিমালা ও লবি গ্রুপগুলোকে দায়ী করেছে অক্সফাম।
বাকিদের মধ্যে ৮ শতাংশের (৩৮৩ মিলিয়ন মানুষ) প্রত্যেকের সম্পদের অর্থমূল্য ১ লাখ ডলারের বেশি। এদের মধ্যে ৩৪ মিলিয়নই যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা; আর তাদের ৪৫ হাজারের সম্পদের পরিমাণ আবার ১০ কোটি ডলারের উপরে।
কারো কাছে ৬৮ হাজার ৮০০ ডলারের সম্পদ থাকলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশের একজন, আর সাত লাখ ৬০ হাজার ডলারের সম্পদ থাকলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এক শতাংশের একজন।
“সবার জন্য সমৃদ্ধি আনবে এমন অর্থনীতির বদলে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও পৃথিবীর উপর ১ শতাংশের অর্থনীতি চাপিয়ে দিয়েছি,” বলা হয়েছে অক্সফামের বিবৃতিতে।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি, ওষুধের দাম কমানো, নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি ধনীদের ট্যাক্স বাড়িয়ে দেওয়া এবং সুবিধাভোগী লবিগ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।