পাঠানকোটের ঘাঁটিতে রক্তক্ষয়ী হামলায় জইশ-ই মোহম্মদ জড়িত এবং দলটির প্রধান আজহারই ওই হামলার পরিকল্পনা করেছেন বলেই মনে করে ভারত।
গণমাধ্যমের কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে, তাকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং জেরা করা হচ্ছে। আজহারের সঙ্গে আটক করা হয়েছে তার ভাই মুফতি আব্দুল রউফ এবং শ্যালক আশফাক আহমেদসহ আরও ১০ জনকে।
জইশ সদস্যদেরকে আটকের পাশাপাশি পাঠানকোট-কাণ্ডে ভারতে গিয়েও তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান।
ভারতে পাঞ্জাবের বিমান ঘাঁটিটিতে ২ জানুয়ারির ওই জঙ্গি হামলায় অন্তত আট জন নিহত হয়।
পাকিস্তান এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এর আগেও জইশের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা এবং দলটির কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে এর সঙ্গে মাসুদ আজহারকেও তারা গ্রেপ্তার করেছে নাকি কেবল জ্ঞিাসাবাদের জন্য আটক করেছে তা পরিষ্কার জানা যায়নি।
১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় এয়ারলাইন্সের ছিনতাই হওয়া একটি বিমানের যাত্রীদের বিনিময়ে পাকিস্তানি জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহারকে মুক্তি দিয়েছিল ভারত।
কাঠমান্ডু থেকে বিমানটি ছিনতাই পরিকল্পনা করেছিলেন মাসুদ আজহারের ভাই। তিন জঙ্গিকে ছিনতাইকারীদের কাছে হস্তান্তরের পর তারা পাকিস্তানে পালিয়ে যায়।
অনিশ্চিত কয়েকটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আজহার ও অন্যান্যদেরকে পাঠানকোট হামলার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।