অভিবাসন-নিরাপত্তা প্রশ্নে রিপাবলিকান মনোনয়ন প্রার্থীদের মতভেদ

যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় মনোনয়ন প্রার্থীদের মধ্যে সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় নিরাপত্তা ও অভিবাসন নিয়ে তীব্র মতভেদ প্রকাশ পেয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2015, 09:20 AM
Updated : 16 Dec 2015, 09:20 AM

বিবিসি বলছে, প্যারিস ও ক্যালিফোর্নিয়ায় হামলার পর এটিই ছিল দলটির মনোনয়ন প্রার্থীদের মধ্যে প্রথম বিতর্ক।

জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে মঙ্গলবার রাতে লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত এ বিতর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও অভিবাসন নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী সিনেটর টেড ক্রুজ ও মার্কো রুবিয়োর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

অপরদিকে প্রচারণায় পিছিয়ে পড়া জেব বুশ নিজের সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে প্রচারণায় সবচেয়ে এগিয়ে থাকা ডোনান্ড ট্রাম্পকে তীব্র আক্রমণ করে কথা বলেন। ‍

ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বুশ বলেন, “আপনার ধরন বজায় রেখে প্রেসিডেন্ট পদকে অপমান করার সুযোগ আপনি পাবেন না।”

তবে বিতর্কের প্রথম দিকে ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপে নিজের প্রস্তাবের বিষয়ে আত্মরক্ষামূলক অবস্থান নিয়েছিলেন।

এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “ধর্ম নিয়ে নয়, আমরা নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলছি।” 

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিতর্ক বৈদেশিক নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার মতো বৃহত্তর বিষয়ে বিস্তৃত হয়ে যায়।

এরপর বক্তরা বিতর্কের বেশিরভাগজুড়েই যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া সন্ত্রাসের শঙ্কা নিয়ে কথা বলেন। এই পর্যায়ে মার্কো রুবিয়ো, র‌্যান্ড পল ও টেড ক্রুজেই মধ্যেই বেশি আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ হয়।

জাতীয় নিরাপত্তা ও অভিবাসন নিয়ে পল ও ক্রুজের তীব্র আক্রমণের শিকার হন রুবিয়ো। দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর উত্তেজিত  বাক্যবাণের মুখে পড়েন তিনি।

সরকারি গোয়েন্দা ক্ষমতা কমানোর পক্ষে ভোট দেওয়া ক্রুজকে লক্ষ্য করে রুবিয়ো বলেন, “যদি সন্ত্রাসীরা আবার হামলা করে, তাহলে প্রথম প্রশ্নটি হবে, ‘আমরা এ বিষয়ে আগে কেন জানতে পারলাম না এবং কেন এটি থামাতে পারলাম না?’”

আইএসের নতুন সদস্য সংগ্রহ বন্ধ করার জন্য ট্রাম্পের ইন্টারনেট বন্ধ করার প্রস্তাব নিয়েও উত্তপ্ত বিতর্ক হয়। বক্তব্যের সমর্থনে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের ইন্টারনেট তাদের ব্যবহার করতে দিতে চাই না আমি।”

তবে এসব উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় সত্বেও বৈদেশিক নীতি নিয়ে বিতর্ককালে এরা সবাই ‘মুসলিমদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রর সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার’ ট্রাম্পের প্রস্তাবটি এড়িয়ে যান।