বিরোধের মধ্য দিয়ে বিদায় আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের

আর্জেন্টিনায় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিরোধের মধ্য দিয়ে বিদায় নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দে কির্চনার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2015, 03:51 PM
Updated : 10 Dec 2015, 05:00 PM

ক্ষমতা হস্তান্তর অনুষ্ঠান কোথায় হবে তা নিয়েই মূলত মতানৈক্য দেখা দেয় বিদায়ী বামপন্থি প্রেসিডেন্ট কির্চনার এবং নবনির্বাচিত মধ্য-ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট মৌরিশিও মাক্রির মধ্যে।

মাক্রি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ক্ষমতা হস্তান্তর অনুষ্ঠান করতে চাইলেও কির্চনার কংগ্রেসেও এ অনুষ্ঠান করার পক্ষে মত দেন।

এ নিয়ে বিরোধের জেরে কির্চনার প্রেসিডেন্সি থেকে বিদায় নিলেও মাক্রির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকতে অস্বীকৃতি জানান। বুধবারের বিদায় অনুষ্ঠানে অসংখ্য ভক্ত-সমর্থকদের সামনে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন তিনি।

সেখানে নতুন মধ্যডানপন্থি সরকার দেশবাসীর সঙ্গে কোনো প্রতারণা করলে প্রতিবাদে জনগণকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বানও জানান কির্চনার।

বৃহস্পতিবার দুপুরেই (১৫:০০ জিএমটি) কংগ্রেসে মাক্রির শপথ গ্রহণ করার কথা। সেখানে উদ্বোধনী ভাষণের পর তিনি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।

কংগ্রেসে অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে কির্চনারের যুক্তি, ২০০৩ সালে তার স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট নেস্তর কির্চনার এবং ২০০৭ সালে তার নিজের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান কংগ্রেসে হয়েছিল। ২০০৩ সালের পর কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান একটি ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু মাক্রি মনে করেন, প্রেসিডেন্টশিয়াল প্রোটকল অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান  প্রেসিডেন্ট প্রাসাদেই হওয়া উচিত। ২০০৩  সালের আগ পর্যন্ত যেটি রীতি ছিল।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, বর্তমান কংগ্রেসের অধিকাংশ আসন কির্চনারের দল জাস্টিশিয়ালিস্ট পার্টির দখলে। তাই শুধুমাত্র প্রোটকলের কারণে নয় বরং কির্চনারের অনুসারীদের কারণে কংগ্রেসে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান বিঘ্নিত হতে পারে আশঙ্কায় হয়ত মাক্রি এতে আপত্তি তুলেছেন।

মাক্রির এ আপত্তির কারণে কির্চনার উভয় অনুষ্ঠানই বয়কটের ঘোষণা দেন।