আইএসবিরোধী যুদ্ধে যোগ দিতে জার্মান মন্ত্রিসভার সায়

সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধে জার্মানির যোগ দেওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের মন্ত্রিসভা।

>>রয়টার্স
Published : 1 Dec 2015, 10:16 AM
Updated : 1 Dec 2015, 01:17 PM

মঙ্গলবার জার্মান মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া এই প্রস্তাব পার্লামেন্টের অনুমোদন পেলে জার্মানির টর্নেডো জেট, রিফুয়েলিং এয়ারক্র্যাফট, একটি ফ্রিডট এবং ১২০০ সৈন্য আন্তর্জাতিক বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেবে।

জার্মান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুনডেসটাগে বুধবার এ প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ১৩ নভেম্বর প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার পর ফ্রান্সের পক্ষ থেকে অনুরোধ পাওয়ার পর বার্লিনের এই সিদ্ধান্ত এলো। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক উগ্রপন্থি দল আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।  

প্যারিসে গত ১৩ নভেম্বরের হামলায় ১৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে। জঙ্গি গ্রুপ ইসলামী স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

গত ২৫ নভেম্বর প্যারিসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অলন্দের সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর মের্কেল উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফ্রান্সের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছিলেন।

দুই বছর আগে ইরাক ও সিরিয়ার বিরাট এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেখানে খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় ইসলামিক স্টেট। তাদের মধ্যে বিশ্বের অন্তত ৮০টির বেশি দেশের ১৫ হাজারের বেশি ‘যোদ্ধা’ রয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য।

সিরিয়া ও ইরাকে এই জঙ্গি দলটির হাতে নিহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, মিশর, জর্ডান ও তুরস্কের অর্ধশতাধিক নাগরিককে জিম্মি করার পর তাদের শিরোশ্ছেদ করে ইন্টারনেটে ভিডিও প্রকাশ করে এই সন্ত্রাসীরা।

এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে দমাতে গতবছর অগাস্টে ইরাকে তাদের স্থাপনা লক্ষ করে বিমান হামলা চালানো শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে অভিযান বিস্তৃত করা হয় সিরিয়ায়। আইএসবিরোধী যুদ্ধে যোগ দেয় সৌদি আরব, জর্ডান, বাহরাইন  ও ফ্রান্স।

আইএসসহ অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীতে নাগরিকদের যোগ দেওয়া ঠেকাতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগাদা দিয়ে গতবছর সেপ্টেম্বরে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে নিরাপত্তা পরিষদ।

আর এ বছর মিশরে একটি রুশ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আইএস দায় স্বীকার করার পর রাশিয়াও আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর সমর্থনে সিরিয়ায় বিভিন্ন জঙ্গি-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে।