দেশটির সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী মহেশ শর্মা জানান, তাজহমল হিন্দু মন্দির ছিল-এই দাবির স্বপক্ষে সরকার কোনো ধরনের প্রমাণ খুঁজে পায়নি।
সোমবার ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় এ কথা জানান মহেশ শর্মা।
বিবিসি বলছে, গেল বছর একদল আইনজীবী আদালতে একটি পিটিশন দিয়ে এই স্থাপনাকে হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন।
মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী মমতাজ মহলের মৃত্যুর পর তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন। সম্রাটের তৃতীয় ও সবচে প্রিয় স্ত্রী মমতাজ ১৪তম সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান।
১৬৫৩ সালে এটির নির্মাণ শেষ হয়। প্রতিদিন ১২ হাজার মানুষ এই অপরূপ স্থাপত্য নিদর্শন দেখতে আসেন।
এই স্থাপনাকে মুঘল শিল্পকলার সবচেয়ে সমৃদ্ধ নিদর্শন বলে বিবেচনা করা হয়।
১৯৮৩ সালে তাজমহলকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বলে ঘোষণা করা হয়। প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক তাজমহল দেখতে আসেন।
তাজমহলকে হিন্দু মন্দির ঘোষণা এবং সেখানে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দিতে হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকে আগ্রা আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে।
চলতি বছরের মার্চে আগ্রা আদালতে তাজমহলকে ‘শিব মন্দির’ ঘোষণা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব হস্তান্তর চেয়ে হিন্দুত্ববাদী ছয়জন আইনজীবী মামলা করেন।
তাদের ভাষ্য, আগ্রায় মহাদেব শিব বাস করতেন। সুতরাং এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ নয়, তাদের কাছে দিতে হবে।