বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলেন ক্যাবোর

বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী রোক মার্ক খ্রিশ্চান ক্যাবোর জয়ী হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2015, 06:30 AM
Updated : 1 Dec 2015, 06:30 AM

দেশটির নির্বাচন কমিশনের বরাতে বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী রোববারের নির্বাচনে ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

দীর্ঘ ২৭ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০১৪ সালের অক্টোবরে গণঅভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট ব্লাইস কমপাওরে ক্ষমতাচ্যুত হন।

আরো পাঁচবছর ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন শুরু হলে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।

কমপাওরের ক্ষমতাচ্যুতির একবছর পর চলতি অক্টোবরে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্সিয়াল সেনাবাহিনীর একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থানের কারণে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়।

৬৪ বছর বয়সী কমপাওরে বর্তমানে প্রতিবেশি রাষ্ট্র আইভরি কোস্টে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।

দেশটির স্বাধীন জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৫৮ বছর বয়সী ক্যাবোর নির্বাচনে সরাসরি জয়ী হয়েছেন। ফলে দ্বিতীয় দফা ভোটের কোনো প্রয়োজন নেই।

কমিশন আরো জানিয়েছে, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী জেপহিরিন দিয়াব্রে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

দিয়াব্রে ইতোমধ্যে ক্যাবোরকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন।

২০১৪ সালের জানুয়ারিতে দেশটির ক্ষমতাসীন কংগ্রেস ফর ডেমক্রেসি অ্যান্ড প্রগ্রেস পার্টি (সিডিপি) ছাড়ার আগে ক্যাবোর দলটির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

নির্বাসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট কমপাওরের শাসন আরো দীর্ঘায়িত করার পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করার পর তিনি সিডিপি ত্যাগ করেন এবং পিপলস মুভমেন্ট ফর প্রগ্রেস নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

তিনি ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

রোববার দেশটির বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে।

ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে দেশটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়। ২৫ হাজারেরও বেশি সেনা সদস্য এই নির্বাচনে পুলিশ ও অন্যান্য নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।

এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে কমপাওরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা ছিল তার অবসান ঘটতে যাচ্ছে।